দেশে সক্রিয় ‘গজবা-ই-হিন্দ’ জঙ্গি গোষ্ঠী, একাধিক রাজ্যে অভিযান NIA-এর



Updated: 02 July, 2023 1:27 pm IST

দেশের মাটিতে সক্রিয় নতুন ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘গজবা-ই-হিন্দ’। উত্তর প্রদেশ, বিহার ও গুজরাটের একাধিক স্থানে সক্রিয় এই জঙ্গি গোষ্ঠীর মডিউল। আর সেই গোষ্ঠীর নাগাল পেতে আজ রবিবার ২রা জুলাই ওই রাজ্যগুলির একাধিক স্থানে অভিযান চালালো NIA(National Investigation Agency)।

খবর অনুযায়ী, আজ সকাল থেকে NIA-এর গোয়েন্দারা বিহারের দ্বারভাঙার একটি স্থানে এবং পাটনায় দুটি স্থানে তল্লাশি চালায়। এছাড়াও, গুজরাটের সুরাতে এবং উত্তর প্রদেশের বরেলিতেও অভিযান চালান গোয়েন্দারা। মূলত এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নেটওয়ার্কে জড়িত সন্দেহভাজনদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। NIA- এর তরফে জানানো হয়েছে যে তল্লাশিতে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে মোবাইল, সিম কার্ড, অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসের ১৪ তারিখে বিহারের ফুলওয়ারী শরীফে মারঘুব আহমেদ দানিশ নামে এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে বিহার পুলিশ। তাকে জেরা করে ‘গজবা-ই-হিন্দ’ নামে জঙ্গি গোষ্ঠীর হদিস পায় পুলিশ। পরে কেসের তদন্তভার হাতে নেয় NIA। তাকে জেরা করে দেশের একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের খোঁজ পায় NIA।

NIA জানিয়েছে, “ধৃত দানিশ গজবা-ই-হিন্দ মডিউলের সদস্য এবং এই মডিউল পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হয়। মূলত যুবকদের মগজধোলাই করে জিহাদী কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার কাজ চলতো। বলা হতো যে ভারতে গজবা-ই-হিন্দ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।”

NIA আরও জানিয়েছে যে ধৃত মারঘুব দানিশ ‘গজবা-ই-হিন্দ’ নামে একটি WhatsApp গ্রুপ খুলেছিল। সেই গ্রুপে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইয়েমেনের নাগরিকরা যুক্ত ছিল। ওই গ্রুপের মাধ্যমে ভারতে জিহাদের জন্য প্রচার চালানো হতো। সেই সব প্রচার অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হতো। যারা জিহাদ আগ্রহী হতো, তাদের পরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হতো। উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিভিন্ন রাজ্যে স্লিপার সেল গড়ে তোলা। এইভাবে একাধিক রাজ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল ‘গজবা-ই-হিন্দ’। এবার সেই নেটওয়ার্কের হদিস পেতে বড়সড় অভিযানে নামলো NIA।