মহারাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হওয়া ইসলামিক স্টেট(ISIS) জিহাদিরা সকলেই উচ্চ শিক্ষিত এবং মোটা বেতনের চাকরি করতেন, জানালো NIA



Updated: 11 December, 2023 7:45 am IST

ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর মহারাষ্ট্র মডিউলের তদন্তে NIA-এর জমা দেওয়া চার্জশিটে উঠে এলো চমকপ্রদ তথ্য। গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদিরা সকলেই উচ্চ শিক্ষিত এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে মোটা বেতনের চাকরি করতেন। চাকরি করার পাশাপাশি কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। আর হামলার লক্ষ্যে বিস্ফোরক বানানোর কাজও গোপনে চলছিল, জানিয়েছে NIA।

গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদিদের মূল মাথা হলেন জুলফিকার আলী। উচ্চ শিক্ষিত জুলফিকার পেশায় একজন সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার এবং পুনের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে সিনিয়র ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। মাসিক বেতন পেতেন তিন লাখ টাকা। চাকরি করার পাশাপাশি ইসলামিক স্টেটের জিহাদি কার্যকলাপ করতেন এবং ভারতে জিহাদি হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

আর একজন জিহাদি হলেন শাহনওয়াজ শফিউজ্জামা(৩০)। পেশায় একজন মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার এবং বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। অন্য জিহাদিদের বিস্ফোরক ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ দিতেন।

অন্য একজন হলেন কাদির পাঠান(৩৫)। কাদির পাঠান পেশায় গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং পুনের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন।

অন্যরা হলেন ইমরান খান ও ইউনুস সাকি। এই দুজন উচ্চ শিক্ষিত যুবক ফিল্ডের কাজ করতেন।

NIA-এর দেওয়া চার্জশিট অনুযায়ী, ইসলামিক স্টেটের এই মডিউল একে ওপরের সঙ্গে কোড ব্যবহার করে কথা বলতেন। পুরো দলটি ‘মোহাম্মদ’ নামে একজন হ্যান্ডলারের নির্দেশে কাজ করে চলছিল। ধৃতরা একাধিকবার পুনে, কোলাপুরের জঙ্গলে বিস্ফোরকের পরীক্ষা করেছিল।

NIA চার্জশিটে জানিয়েছে যে ধৃতরা ভারতে কাফিরদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলো। কাফিরদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে হামলার ছক কষছিল। ধৃতদের বাড়ি থেকে কট্টর ইসলামিক বইপত্র, জিহাদি বইপত্র, বিস্ফোরক তৈরির ফর্মুলা সংক্রান্ত কাগজপত্র ইত্যাদি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মোটরবাইক চুরি করতে গিয়ে পুনে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ইমরান খান ও ইউনুস সাকি। এতো উচ্চ শিক্ষিত যুবকরা কেন মোটরবাইক চুরি করছে, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না পুলিশ আধিকারিকরা। ধৃতদের নিয়ে ভাড়াবাড়ি তল্লাশি চালাতেই রহস্যের পর্দাফাঁস হয়। বাড়ির ভিতর থেকে জিহাদি বইপত্র, বিস্ফোরক সামগ্রী ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। তৎক্ষণাৎ মহারাষ্ট্র এটিএস-কে খবর দেয় পুনে পুলিশ। এটিএস ধৃতদের কম্পিউটার পরীক্ষা করে ইসলামিক স্টেটের জিহাদি মডিউলের খোঁজ পায়। পরে কেসের তদন্তভার NIA নিজেদের হাতে নেয়। গ্রেপ্তার করা হয় পুরো দলটিকে।