২০ বছর পরে দেশ চালাবে মুসলিমরা, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে হুঁশিয়ারি দিলেন আসামের রাজনৈতিক নেতা তথা এআইইউডিএফ (AIUDF) প্রধান মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল।
উল্লেখ্য, শনিবার গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হিমন্ত বলেছিলেন যে আসামের হিন্দু ও মুসলমান সবাই স্ফূর্তিতে রয়েছে। গত কয়েক বছরে আমি কাউকে দুঃখী হতে দেখিনি। আর হিমন্তর এই মন্তব্যে বেজায় চটেছেন আজমল।
গতকাল রবিবার আজমল বলেন যে আসামের মুসলমানরা কতটা ভালো আছেন, তা সবাই জানেন। আজমলের অভিযোগ, সব কিছুতেই মুসলমানদের টার্গেট করছে হিমন্তর সরকার। উচ্ছেদ থেকে শুরু করে বাল্যবিবাহ বিরোধী অভিযান – সব ক্ষেত্রেই মুসলমানদের টার্গেট করছে সরকার। মুসলমান ছেলেমেয়েদের কোনোভাবেই এগিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের পিছন থেকে আরও পিছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তবে ২০ বছর পরে দেশ চালাবে মুসলমানরা, দাবি করেন ধুবড়ির সাংসদ আজমল।
আজমল আরও বলেন, ‘এই রাজ্যে এখন কথা বলতে ভয় করে। কিছু বললেই হয়তো জেলে ভরে দেবে। রাজ্যে যেভাবে বুলডোজার চলছে, তা সাংঘাতিক। এনকাউন্টারের নামে নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। যাকে খুশি গুলি করে দিচ্ছে পুলিশ।’ আসামে জঙ্গলরাজ চলছে বলে অভিযোগ করেন আজমল।
প্রসঙ্গত, আসামে বিজেপির উত্থানে রাজনৈতিক জমি হারিয়েছে একসময়ের জনপ্রিয় দল AIUDF। এক ধাক্কায় আসন সংখ্যা কমেছে তাদের। একই অবস্থা কংগ্রেসেরও। হিমন্ত বিশ্বশর্মার জনপ্রিয়তার কাছে ঠেক পাচ্ছেন না কংগ্রেস নেতারা। আর সেই কারণে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে সংখ্যালঘু ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস ও AIUDF। প্রায়শই সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে দুটি দল। কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। এমতবস্থায় সাংবাদিক সম্মেলন করে হওয়া গরম করার চেষ্টা করছেন আজমল, মনে করছেন অনেকে।