প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক নাবালিকাকে যৌনপল্লী সোনাগাছিতে বিক্রি করার দেওয়ার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতরা ওই নাবালিকার প্রেমিক, ক্রেতা জাইদুল শেখ এবং সোনাগাছির এক যৌন কর্মী মেহরানা খাতুন।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন(Sundarban) এলাকার এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই নাবালিকাকে কলকাতা থেকে উদ্ধার করে। তারপর নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ পুরো ঘটনা জানতে পারে। সেই মত ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেরায় ওই নাবালিকা পুলিশকে জানায় যে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে ঢোলাহাট থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনে বিয়ে করে সংসার পাতার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ছাড়ে। তাঁরা কলকাতায় আসে। তারপর তাঁর প্রেমিক তাকে হুগলি জেলার আরামবাগে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জাইদুল শেখকে ₹৪০,০০০(চল্লিশ হাজার টাকা) টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। বিক্রি করার সময় সেখানে সোনাগাছির যৌন কর্মী মেহরানা খাতুন উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
কলকাতায় নিয়ে আসার পর নির্যাতন আরও বাড়ে। প্রায় প্রতিদিনই কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হত তাকে। একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওই নাবালিকা। আপাতত উদ্ধারের পর ঠাঁই হয়েছে সরকারি হোমে।
এদিকে ধৃতদের মধ্যে জাইদুল শেখ এবং মেহরানা খাতুনকে কাকদ্বীপ কোর্টে তোলা হয়। অন্যদিকে নাবালক প্রেমিককে জুভেনাইল বোর্ডের সামনে পেশ করা হয়।
মন্দিরবাজারের এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, ‛নাবালিকা মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছি। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং পকসো(POCSO Act) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।