ভালোবেসে মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছে আদরের একমাত্র কন্যা। ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে বাবা মায়ের দেওয়া নাম ত্যাগ করে নতুন ইসলামিক নাম রেখেছে সে। আর তারপরই কন্যাকে ত্যাজ্য করার পাশাপাশি সেই কন্যার পিন্ড দান করলো পরিবার। ঘটনা মধ্য প্রদেশের জব্বলপুরের।
জানা গিয়েছে, জব্বলপুরের বাসিন্দা অনামিকা দুবে (২২) ভালোবেসে বিয়ে করেন মুসলিম যুবক আয়াজকে। বিয়ের আগে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় অনামিকা এবং তাঁর নতুন নাম হয় উজমা ফাতিমা। সেই খবর সামনে আসার পর অনামিকার পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন যে তাদের মেয়ে লাভ জিহাদের শিকার হয়েছে। কিন্তু তদন্তের পর পুলিশ জানায় যে স্বেচ্ছায় অনামিকা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে এবং তাঁর প্রেমিক আয়াজকে বিয়ে করেছে। এর পরই সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় অনামিকা ওরফে ফাতিমার পরিবার।
অনামিকার পরিবারের তরফে স্থানীয় একটি পত্রিকায় ‘শোক সংবাদ’ দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয় যে তাদের কন্যার মৃত্যু হয়েছে এপ্রিল মাসের দুই তারিখে। সেই মতো শ্রাদ্ধ এবং পিন্ড দানের আয়োজন করে পরিবার।
নির্দিষ্ট দিনে নর্মদা নদীর তীরে হিন্দু রীতি অনুযায়ী মেয়ের শ্রাদ্ধ করেন এবং পিন্ড দান করেন। শ্রাদ্ধের পর ভোজন দান করেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই সেই শ্রাদ্ধ এবং পিন্ড দানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই ওই পরিবারের এমন কর্মকাণ্ডে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
অনামিকার মা জানান যে আমরা ওকে ২২ বছর ধরে আদর ও যত্নে বড়ো করে তুলেছিলাম। কিন্তু ও আমাদের মান সম্মান ডুবিয়েছে। আমরা সম্মানের সঙ্গে কন্যা দান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজ বাধ্য হলাম পিন্ড দান করতে।