লাভ জিহাদের ৬০টি ঘটনা; যেখানে মুসলিম প্রেমিকদের হাতে খুন হয়েছিলেন হিন্দু তরুণীরা



Updated: 03 September, 2023 6:12 am IST

শাহবাদ ডে‌ইরি হত্যা মামলার পর থেকে, আন্তঃধর্মীয় সম্পর্কের কারণে হিন্দু মেয়েদের তাদের অংশীদারদের দ্বারা হত্যার ঘটনা শহরটির আলোচনায় পরিণত হয়েছে। এটা এমন নয় যে, হিন্দু মেয়েরা আগে মুসলিমদের হাতে খুন হত না, এখন এক‌ই ধরনের প্যাটার্ন অনুসরণ করে এমন শত শত ঘটনা রয়েছে।

বছরের পর বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রিপোর্ট করা এরকম ষাটটি মামলার তালিকা আমরা আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি।

কেস নং ১: রোহিণীর শাহবাদ ডে‌ইরি এলাকায় ২৮ মে সন্ধ্যায় একটি ১৬বছর বয়সী মেয়েকে তার বাড়ির ঠিক বা‌ইরে তার ‘প্রেমিক’ ২০ বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে খুন করে। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত হলেন সাহিল খান যার কালা‌ওয়া (গেরুয়া ধাগা) পরা ছবি ইন্টারনেটে ভা‌ইরাল হয়েছে। হত্যাকাণ্ড এতটা‌ই নৃশংস ছিল যে নাবালিকা হিন্দু মেয়ের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট‌ও সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠেছিল।

কেস নং ২: ১৮ মে, ২০২২ সালে ২৮ বছর বয়সী আফতাব পুনা‌ওয়ালা তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে একটি তর্কের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তারপরে তাঁর দেহকে ৩৫ টুকরো টুকরো করে। তারপর পরিচয় গোপন করার জন্য শ্রদ্ধার মৃতদেহের মুখ পুড়িয়ে দেয়। তারপর আফতাব একটি ৩০০-লিটার ফ্রিজে তার শরীরের অংশগুলি সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করেছিল, যা প্রতিবেশীদের সন্দেহ এড়াতে প্রতি রাতে প্রায় ২ টায় পরবর্তী ১৮ দিন ধরে ছতরপুর জঙ্গলে ফেলত। সংবাদ মাধ্যমে উদ্ধৃত পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, তিনি বলেছিলেন যে শ্রদ্ধার হত্যার জন্য তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হলে‌ও তিনি দুঃখিত হবেন না কারণ তিনি যখন জান্নাতে প্রবেশ করবেন তখন তাকে নায়ক হিসাবে স্মরণ করা হবে এবং ‘জান্নাতে’ তাকে ‘হুর’ দে‌ওয়া হবে।

কেস নং ৩: ২৪ আগস্ট, ২০২২ সালে দিল্লির সঙ্গম বিহারে একটি ১৬ বছর বয়সী মেয়ে ‘আলী’ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে তাকে অনুসরণ করত, আলী তার আসল পরিচয় ও নাম গোপন করে মেয়েটির সঙ্গে মেলামেশা করতেন। মেয়েটি যখন জানতে পারে যে ছেলেটির ধর্ম আলাদা, তখন সে ছেলেটির সাথে কথা বলা একেবারে‌ই বন্ধ করে দিল। তা সত্ত্বে‌ও আলী ওই হিন্দু নাবালিকাকে অনুসরণ করতে থাকে এবং সুযোগ পেয়ে হত্যা করে।

কেস নং ৪: নীতু নামে এক অল্পবয়সী হিন্দু মেয়েকে খুন করে প্রেমিক লায়েক খান ওরফে সফিক খান। সফিকের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল নীতু। ‘বন্ধু’ ঠান্ডা মাথায় নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল। ঘটনাটি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে উত্তর পশ্চিম দিল্লির রোহিনীতে বেগম বিহার এলাকায় ঘটে।

কেস নং ৫: নভেম্বর ২০১৯ সালে পুলিশ উত্তর প্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা নোমান (৩০), শাকুরপুর গ্রামের বাসিন্দা আরমান (২৬), এবং নি‌উ উসমানপুরের বাসিন্দা সামসাদ (৩০), একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। আ‌উটার নর্থ দিল্লির বা‌ওয়ানা এলাকায় একজন মহিলাকে হত্যা এবং একটি স্যুটকেসে ভরে তার দেহ ফেলে দে‌ওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কেস নং ৬: ২৭ মে ২০২৩ সালে শাহজাহানপুরে একজন গর্ভবতী মহিলা সীমা গৌতমকে তার লিভ-ইন পার্টনার মোহাম্মদ নাভেদ হত্যা করেছিল। তাকে হত্যা করার আগে নাভেদ সীমাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে এবং তার নাম পরিবর্তন করে জোয়া সিদ্দিকী রাখে।

কেস নং ৭: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সালে দু‌ই কন্যার মা ছন্দা সিং নামে একজন বিধবাকে আরিফ হুসেন নিজের নাম ও ধর্ম পরিচয় গোপন করে গুড্ডু সিং পরিচয় নিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। তাঁরা দুজনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। একসময় ছন্দাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে আরিফ। একদিন ছন্দা নামাজ পড়তে রাজি না হওয়ায় হুসে‌ইন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বিতে।

কেস নং ৮: নভেম্বর ২০২১ সালে বর্ষা রঘুবংশীকে তার স্বামী ফাহিম কুরেশি হত্যা করেছিলেন। বিয়ের পরে শশুরবাড়িতে বর্ষাকে ‘কাফির কি আ‌ওলাদ’ বলে গঞ্জনা দেওয়া হতো এবং তাকে রান্না করে গোমাংস খেতে বাধ্য করা হতো। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জেলার।

কেস নং ৯: মার্চ ২০২২ সালে একটি দলিত কন্যাকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মোহাম্মদ সাহিল ধর্ষণ ও হত্যা করেছিল। সে তাকে গালিগালাজ করে এবং তাকে ধর্ষণের অনেক চেষ্টা করে। মেয়েটি তার যৌন নিপীড়নের চেষ্টাকে প্রতিহত করতে থাকে। এরপর অভিযুক্ত তাকে জোর করে বিষ খা‌ইয়ে পাশের বিজোপুরী বনাঞ্চলে ফেলে রেখে যায়।

কেস নং ১০: মার্চ ২০২২ সালে মোহাম্মদ শাকির উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে সুশীলাবতীকে হত্যা করেছিলেন। খুনের কারণ ছিল অভিযুক্তের হাতে সুশীলাবতীর ফ্ল্যাট দখল। শাকির নিজেকে নেপালের ‘চার্লস শোভরাজ’ বলে সোশাল মিডিয়ায় বর্ণনা দিত। পুলিসি জেরায় শাকির স্বীকার করে যে, পীড়িতের সাথে দেখা করার আগে হিন্দু নাম রাজেশ ব্যবহার করত।

কেস নং ১১: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশের পুলিশ ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে লখিমপুরে দু‌ই দলিত বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে। অভিযুক্তদের নাম হল — জুনায়েদ, সোহেল, আরিফ, হাফিজ, ছোট ও করিমুদ্দিন। ঘটনাস্থল ছিল লখীমপুর খেরী।

কেস নং ১২: নভেম্বর ২০২২ সালে মহাম্মদ সুয়ান নামে এক ব্যক্তি একটি বহুতল ভবন থেকে একটি মহিলাকে ছুঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। জানা যায় যে, নিধি গুপ্তা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে মহম্মদ সুয়ানকে নিকাহ করতে রাজি হচ্ছিলেন না। আর তাই নিধিকে খুন করে প্রেমিক সুয়ান। ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (নং ২৩১/২০২২) -এ নিধির মা লক্ষ্মী গুপ্তা জানিয়েছেন, সুয়ান নামে এক প্রতিবেশী, যিনি সম্পর্কে মোহাম্মদ রাজুর ছেলে ছিলেন; তিনি তার মেয়েকে একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল নিধি।

কেস নং ১৩: একটি ভয়াবহ খুনের মামলায়, ওয়াসি আহমেদ তার স্ত্রী উমা শর্মা ওরফে আরফা ফাতেমাকে খুন করেছিলেন ২২ ডিসেম্বর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ সালে, লখিমপুর খেরি জেলায় ওয়াসি অহমেদের শোবার ঘর থেকে।

কেস নং ১৪: ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, জাতীয় স্তরের খো-খো খেলোয়াড় বাবলি রানীকে (২৪) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল উত্তর প্রদেশে বিজনোরে রেল শ্রমিক শাহজাদের (২৬) দ্বারা। সে তাকে ধর্ষণের চেষ্টাকে প্রতিহত করতে চাইলে শাহজাদ তাকে হত্যা করে।

কেস নং ১৫: নিশা নামে একজন হিন্দু মহিলা অক্টোবর ২০২১ সালে তার মুসলিম স্বামী ডক্টর ইকবালের হাতে খুন হন। কারণ সে ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল। ইকবাল, চার সন্তানের পিতা যিনি ইতোমধ্যেই বিবাহিত ছিলেন, হিন্দু হ‌ওয়ার ভান করে নিশাকে প্রতারিত করেছিল। পীড়িতা যখন আবিষ্কার করল সে আসলে মুসলিম, তিনি মন্তব্য করেন যে প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের নিজস্ব ধর্ম পালন করতে পারে। পূর্বে বিবাহিত ইকবাল অবশ্য নিশাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। তাতে নিশা রাজি না হলে ইকবাল তাকে হত্যা করে। উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।

কেস নং ১৬ : উত্তর প্রদেশের মিরাট জেলা থেকে একটি খুনের খবর পা‌ওয়া গেছে, যেখানে শাকিব এবং তার পরিবার একতা দেশ‌ওয়ালকে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি জমিতে পুঁতে ফেলেছিল। সাকিবের ভা‌ই মুসাররাত, বাবা মুস্তাকিম, শ্যালিকা রেশমা স্ত্রী নাভেদ, ইসমতসহ স্ত্রী মুসাররাত ও গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে আসা গ্রামবাসী আয়ানকে আটক করেছে পুলিশ। রেশমা একতাকে হত্যার আগে সব কাপড় খুলে ফেলেছিল। এরপর সবা‌ই মিলে তীর দিয়ে তার হাত, পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আখ ক্ষেতে গর্ত খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়। তার হাত, পা ও মাথা গ্রামের পুকুরে ফেলে দে‌ওয়া হয়।

কেস নং ১৭: জুন ২০২০ সালে গাজিয়াবাদের এনসি‌আর অঞ্চলে তার বাবা-মায়ের সাথে কেনাকাটা করার সময় নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাতে খুন হন নয়না কাউর (২২)। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তের নাম শেরু খান (২২), দিল্লির সুন্দর নাগরির বাসিন্দা। সে নয়নার পিছু নিয়ে মলে যায় ও এই কাণ্ড ঘটায়। “সে বলেছিল যে সে সুন্দর নাগরিতে স্কুলে যা‌ওয়ার সময় থেকে নয়নার প্রেমে পড়েছিল,” একজন পুলিশ অফিসার বলেছেন।

কেস নং ১৮: জুলাই ২০২০ সালে প্রিয়া এবং তার মেয়েকে অভিযুক্ত মহম্মদ শামশাদ খুন করেছিল যিনি ফেসবুকে অমিত গুর্জার নামে তার সাথে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। মহম্মদ শামসাদ প্রিয়ার সাথে বন্ধুত্ব করে প্রিয়ার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করার পর, শামশাদ অবশেষে প্রিয়া ও তার মেয়ে কাশিশকে হত্যা করে এবং তাদের লাশ তার ড্রয়িংরুমে পুঁতে দেয়।

কেস নং ১৯: জুলাই ২০২০ সালে প্রিয়া সোনি তার পরিবারের না জানিয়ে এবং অভিভাবকের অনুমতি না নিয়ে আজাজ আহমেদকে বিয়ে করেন। সেপ্টেম্বরে, আহমেদ তার বন্ধুর সহায়তায় তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং পরিচয় গোপন করার জন্য তার শিরশ্ছেদ করে। পরে লাশ ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখে এবং মাথাটি ১০০ মিটার দূরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের সোনভদ্র জেলায় ঘটেছে।

কেস নং ২০: সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বাদা‌উন জেলা থেকে একটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল যেখানে আসিফ নেহাকে ফাঁদে ফেলতে এবং বিয়ে করার জন্য নিজের নাম রাজকুমার বলেছিল। নির্যাতিতা যখন আসিফের পরিচয়ের সত্যতা জানতে পেরে ঝগড়া শুরু করে, কয়েক মাসের মধ্যে আসিফ নেহাকে হত্যা করে।

কেস নং ২১: অক্টোবর ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশের লখন‌উ থেকে একটি মামলার কথা জানান যায়, যেখানে নাদিম খান তার তৃতীয় স্ত্রী সীমা সোনিকে গলা কেটে হত্যা করেছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, নাদিম সীমাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফা‌ইলে সীমার নাম ছিল সীমা খান, সোনি নয়।

কেস নং ২২: মে ২০১৭ সালে অর্চনা (১৮) যিনি তিন সন্তানের সাথে একজন বিবাহিত ব্যক্তি জাভেদের সাথে পালিয়ে গিয়েছিলেন, চার সপ্তাহ পরে কিছু ওষুধের অতিরিক্ত সেবনের কারণে মারা যান। অর্চনার পরিবার জাভেদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করার পরে ও‌ই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

কেস নং ২৩: ৪ জুলা‌ই ২০১৭ সালে আদনান খান তার গর্ভবতী স্ত্রীকে তার দু‌ই বন্ধুর দ্বারা গণধর্ষণ করে এবং তারপর তাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। তদুপরি, সে যাতে বাঁচতে না পারে, সে জন্য ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে ফেলে। আদনান তার পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী নিকাহ করে দ্বিতীয় স্ত্রী নে‌ওয়ার পর তাদের মধ্যে প্রায়‌ই ঝগড়া হত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে।

কেস নং ২৪: জানুয়ারি ২০২৩ সালে মুম্বা‌ই থেকে একটি ঘটনা সামনে এসেছিলো। যশোদা নামে একজন হিন্দু তরুণী তাঁর প্রেমিক মোহাম্মদ রেহানকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। তাঁর নতুন নাম হয়েছিল রুবিনা। দুজনে বিয়ে করে এবং ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ একদিন তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য, রেহানা ছিল মধ্য প্রদেশের কাটনি জেলার বাসিন্দা। পরে যশোদা ওরফে রুবিনার বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাদের অভিযোগ, রেহান তাদের মেয়েকে গো-মাংস খাওয়ার জন্য চাপ দিতো। তাদের মেয়ে গো-মাংস খেতে রাজি না হওয়ায় তাঁর উপরে শারীরিক নির্যাতন করতো রেহান। আর তা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করে যশোদা।

কেস নং ২৫: মে ২০২২ সালে মুম্বা‌ইয়ের গোরেগাঁও পশ্চিম থেকে একটি খুনের ঘটনা সামনে এসেছিলো। পুলিশ সেই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ১৮ বছর বয়সী হিন্দু মেয়ে সোনম শুক্লাকে নির্মমভাবে হত্যা করার জন্য ২৩ বছর বয়সী বেকারির মালিক মহম্মদ আনসারিকে গ্রেপ্তার করেছিল। গোরেগাঁওয়ের প্রেম নগর এলাকার বাসিন্দা মেধাবী সোনম শুক্লা NEET (নেট) পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং তার মাঝে কিভাবে মহম্মদ আনসারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লো, সেটা বিরাট রহস্যের।

কেস নং ২৬: সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অম্বিকাকে জাকির এবং তার সহযোগী মহারাষ্ট্রের অমরাবতী থেকে অপহরণ করেছিল। পরে মহারাষ্ট্র পুলিশ জাকির আহমেদ ও তার দু‌ই সহযোগীকে অম্বিকা মারাসকোলেকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।

কেস নং ২৭: সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে মোহাম্মদ ইকবাল শেখ তার হিন্দু স্ত্রী রূপালী চন্দনশিভেকে (২০) ইসলামিক ঐতিহ্য অনুসরণ না করার জন্য এবং বিবাহবিচ্ছেদের দাবিতে তার গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বা‌ইয়ের তিলক নগর/চেম্বুর এলাকায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযুক্তরা রুপালীকে বোরকা পরতে এবং দুজনের বিয়ের পর‌ই ইসলামিক আচার-অনুষ্ঠান মেনে চলতে বাধ্য করত।

কেস নং ২৮: ডিসেম্বর ২০২২ সালে মুম্বা‌ই থেকে একটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল যেখানে লিভ-ইন পার্টনার রিয়াজ খানের কর্তৃক রাজস্থানী মেয়ে নিহত হয়। ২৭ বছর বয়সী তরুণীকে নাভি মুম্বা‌ইতে মৃত অবস্থায় পা‌ওয়া গেছে এবং তার পরিবার তার লিভ-ইন পার্টনার রিয়াজ খানকে হত্যার জন্য দায়ী করেছে। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়াকারকে তার লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনা‌ওয়ালার হাতে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এ‌ই খবর এসেছে।

কেস নং ৩০: ডিসেম্বর ২০২০ সালে মহসিন খান তার বান্ধবীর দিদা লক্ষ্মী ধ্রুবকে গলা কেটে ফেলেন। ১৭ বছর বয়সী মহসিন খান ৭০ বছর বয়সী লক্ষ্মী ধ্রুব এবং তার ১০ বছর বয়সী নাতি যশকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের হাজারিপাহাড়ে তাদের বাসভবনে নির্মমভাবে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, মহসিন খান এবং তাদের মেয়ের কথিত বন্ধুত্বের প্রতি মেয়েটির পরিবারের আপত্তির কারণে এ‌ই জঘন্য কাজটি সমাধা হয়েছিল।

কেস নং ৩১: ১৫ অক্টোবর ২০১৮ সালে মডেল মানসী দীক্ষিতকে খুন করা হয়েছিল এবং তার দেহ একটি ব্যাগে ভরেছিল তার প্রেমিক মুজাম্মিল সৈয়দ। খুনের ঘটনাটি ঘটেছে আন্ধেরি পশ্চিমের মিল্লাত নগরে। কথা কাটাকাটির জের ধরে সৈয়দ তার কাঠের চেয়ারের পায়া দিয়ে মানসীর মাথায় আঘাত করে এবং শেষে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

কেস নং ৩২: অক্টোবর ২০২২ সালে নাবালিকা রুবি কুমারী (১৩) জনৈক শেখ রাজা (১৯) দ্বারা ধর্ষণ ও খুন হন। হুগলি জেলার শে‌ওরাফুলির কাছে শে‌ওরাফুলি রেলস্টেশনের কাছে রেল‌ওয়ে ট্র্যাক থেকে রুবি কুমারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শেখ রাজা তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। তারপর তারা এক‌ই এলাকার বাসিন্দা শেখ রাজাকে ধরে ফেলে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে বৈদ্যুতিক পোস্টের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।

কেস নং ৩৩: জুলা‌ই ২০১৮ সালে শেখ সুলতান তার বান্ধবী শুভলগ্না চক্রবর্তীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন তার জাল হিন্দু পরিচয় ফাঁস হবার রাগে, যার ফলে তাদের বিয়ে বাতিল হয়েছিল। ৩৫ বছর বয়সী শুভলগ্না সুলতানের সাথে কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। অর্থাৎ বিবাহ অবধি পৌঁছেছিল দুজনের সম্পর্কের পরিণতি। কিন্তু তারপর মেয়েটির বাবা-মা সুলতানের আসল পরিচয় জানতে পেরে শুভলগ্নাকে তিরস্কার করে। তখন শুভলগ্না বিবাহ বাতিল করার কথা ঘোষণা করে। এরই প্রতিশোধ নিতে শেখ সুলতান শুভলগ্নাকে হত্যা করে।

কেস নং ৩৪: জানুয়ারী ২০২৩ সালে মমতা দেবী নামে একজন বিবাহিত হিন্দু মহিলা একজন মুসলিম পুরুষের দ্বারা খুন হয়েছিল। মমতা দেবী তাকে তার স্বামীকে ছেড়ে মুসলিম প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যা‌ওয়ার জন্য জোর করছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায়। নিহতের বোন জয়া দেবী মিডিয়ার কাছে দাবি করেছেন, তাকে খুন করেছে রকি বাবা ওরফে আরমান খান। জয়া গণমাধ্যমকে জানান, তার বোন মমতা বিবাহিত এবং তার তিন বছরের একটি মেয়ে‌ও রয়েছে।

কেস নং ৩৫: সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় একটি গাছে ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় পা‌ওয়া গিয়েছিল। তাকে আরমান আনসারি নামে একজন নির্মাণ কর্মী ধর্ষণের পর হত্যা করেছিল, যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আনসারী নাবালিকাকে অপহরণ করে নিজের কাছে রাখে এবং গর্ভবতী না হ‌ওয়া পর্যন্ত কয়েক মাস ধরে তাকে যৌন শোষণ করে, আনসারী প্রথমে তাকে হত্যা করে এবং তারপরে তাকে একটি গাছে ঝুলিয়ে হত্যাকে আত্মহত্যার মত সাজানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

কেস নং ৩৬: ডিসেম্বর ২০২২ সালে ঝাড়খণ্ড থেকে শ্রদ্ধা ওয়াকারের মতো একটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। দিলদার আনসারী তাঁর স্ত্রী রুবিকা পাহাদিনকে নৃশংসভাবে খুন করে। আনসারি রুবিকার দেহকে ৫০ টুকরো করে কেটেছিল। গত দু‌ই বছর ধরে রুবিকা ও দিলদারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তারা একে অপরকে বিয়ে করতে চেয়েছিল, কিন্তু উভয় পরিবার‌ই তাদের সম্পর্কের বিরোধী ছিল। আর তাই রুবিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে দিলদার আনসারীকে বিয়ে করেন। কিন্তু তিনি পালিয়ে গিয়ে তাকে বিয়ে করেন। অপরাধ আড়াল করতে এবং পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে দিলদার তার স্ত্রী রিবিকার জন্য মিসিং ডায়েরির কেসও নথিভুক্ত করেন। কিন্তু পুলিস তার কথাবার্তার অসঙ্গতি দেখে দিলদারকে গ্রেফতার করে হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত হিসাবে।

কেস নং ৩৭: অক্টোবর ২০২২ সালে ঝাড়খণ্ডের সিমডেগায় চাঁদ আনসারি এবং তার কয়েক বন্ধু মিলে একটি নাবালিকা মেয়েকে খুন করে। নির্যাতিতার পরিবার আর‌ও অভিযোগ করেছে যে আনসারি প্রথমে ধর্ষণ করেছিল এবং পরে তাকে হত্যা করার জন্য তাকে মারতে মারতে একসময়ে মেরেই ফেলে।

কেস নং ৩৮: নভেম্বর ২০১৭ সালে চয়নিকা কুমারীকে (৩০) তাঁর কথিত প্রেমিক মির্জা রফিকুল হক খুন করে। মির্জা রফিকুল পেশায় একজন ডাক্তার। অভিযোগ, চয়নিকাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করতে চাপ দিচ্ছিলেন প্রেমিক মির্জা রফিকুল। চয়নিকা অস্বীকার করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। চয়নিকাকে হত্যা করার পর, তাঁর মৃতদেহ একটি স্যুটকেসে ভরে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের টাটা নগর রেল‌ওয়ে স্টেশনে রেখে পালিয়ে যান মির্জা রফিকুল হক।

কেস নং ৩৯: ডিসেম্বর ২০১৭ সালে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলায় একজন হিন্দু মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। অভিযোগ, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন ওই হিন্দু তরুণী। আর তাই ওই মহিলার স্বামী আদিল আনসারী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করে।

কেস নং ৪০: মার্চ ২০২২ সালে গুলবেজ তার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিকাহ (ইসলামিক বিয়ে) করতে অস্বীকার করার পরে রামসাকে হত্যা করে। ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের রুরকি থেকে জানা গেছে।

কেস নং ৪১: আগস্ট ২০২২ সালে ২৪ দিনের দীর্ঘ তদন্তের পরে, নৈনিতাল পুলিশ অঞ্জলি আর্যর অন্তর্ধানের রহস্য সমাধান করে এবং তার ‘প্রেমিকা’ মোহাম্মদ ইয়ামিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তরা অঞ্জলিকে তার গলা কেটে হত্যা করেছিল কারণ সে তাকে তাদের বিবাহের পর তাকে বিয়ে করতে বলেছিল।

মামলা ৪২: এপ্রিল ২০২১ সালে হায়দার এবং তার দু‌ই বন্ধু, আরিফ এবং ফারহান, নিধি পাস‌ওয়ান নামে একটি হিন্দু মেয়েকে তাঁর বাড়ির ভিতরে দিনের আলোতে পেপার কাটার দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের কাছে রুরকি থেকে এ‌ই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের খবর পা‌ওয়া গেছে।

কেস নং ৪৩: ডিসেম্বর ২০২১ সালে নববধূ তানিষ্কা শর্মাকে মোহাম্মদ সাহিল এবং তার বন্ধুরা পাঁচবার গুলি করেছিল, যখন সে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিল। সাহিল তানিষ্কাকে বহুদিন ধরে পিছু নিয়েছিল। এই সময়ে পরিস্থিতি এতটা‌ই খারাপ হয়েছিল যে পরিবার তাকে ১২ শ্রেণী পাস করার পরে তার পড়াশোনা ছাড়িয়ে দেয়, যাতে তানিষ্কাকে সাহিল আর পিছু না নেয়।

কেস নং ৪৪: জুন ২০২০ সালে শিবানী খোবিয়ানকে তার প্রতিবেশী এবং অনুসরণকারী আরিফ খান হত্যা করেছিলেন। ২৬ জুন ২০২০ সালে হরিয়ানার কোন্ডলিতে আরিফ খানের সেলুনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার ঘটনা ঘটে। রিপোর্ট অনুসারে, শিবানীর পরিবার তিন বছর আগে আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল এবং শিবানীকে পিছু নে‌ওয়ার জন্য তাকে ক্ষমা চা‌ইতে বলা হয়েছিল। এরপর থেকে আরিফ তাদের প্রতি ক্ষোভ পোষণ করে তাঁর অপমানের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।

কেস নং ৪৫: ২০২০ সালে নিকিতা তোমারকে অনুসরণকারী তৌফিক হত্যা করেছিল যিনি তাকে ২০১৭ সালে‌ও অপহরণ করেছিলেন। সূত্র জানায়, তৌফিক ও নিকিতা এক সাথে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল এবং ২০১৭ সালে তাকে অপহরণ অবধি করেছিল। পুলিশ জানায় যে এটি ছিল একতরফা প্রেমের সম্পর্ক। পরিবার একটি এফ‌আ‌ই‌আর দায়ের করেছিল কিন্তু পরে সামাজিক কলঙ্কের কারণে এবং তাদের মেয়েকে কোন‌ও আ‌ইনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার অভিযোগে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু তৌসিফ তার পরেও তার পিছু নেওয়া ছাড়েনি।

কেস নং ৪৬: আজমির পুলিশ আরশাদ খান এবং তার তিন সহযোগীকে মার্চ ২০২২ সালে একটি ১৭ বছর বয়সী নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে গণধর্ষণ ও হত্যার জন্য তাদের ভূমিকার জন্য গ্রেপ্তার করে। আরশাদ ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বেছে বেছে হিন্দু নাবালিকাদের সাথে বন্ধুত্ব করত এবং পরে কুকর্ম করত।

কেস নং ৪৭: আগস্ট ২০২১ সালে কোটা থেকে একটি মর্মান্তিক ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। ২৬ বছর বয়সী রিজ‌ওয়ানা, যিনি আগে অন্তিমা শেখাওয়াত ছিলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার মাঝখানে আততায়ীর দ্বারা খুন হন। অন্তিমাকে ইমরান প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো; তারপর ইমরান তাকে ধর্মান্তরিত করে, তারপর টাকার জন্য অন্তিমাকে দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর অন্তিমা এই কুকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে ধরা পড়ার ভয়ে ইমরান তাকে হত্যা করে।

কেস নং ৪৮: এপ্রিল ২০২২ সালে ১৫ বছর বয়সী প্রাচী রানাকে উনা জেলায় তার বাড়িতে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল আসিফ মোহাম্মদ, একজন সংবাদপত্র বিক্রেতা যিনি পীড়িতদের বাড়িতে সংবাদপত্র পৌঁছে দিতেন। ৫ এপ্রিল প্রাচী বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে সংবাদপত্রের বিল দে‌ওয়ার অজুহাতে বাড়িতে প্রবেশ করে অভিযুক্ত আসিফ। ঘরে ঢুকে তাকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সে বাধা দিলে অভিযুক্ত আসিফ তার গলা কেটে পালিয়ে যায়।

কেস নং ৪৯: ছত্তিশগড়ের সুরজপুর জেলায় ২৩ বছর বয়সী সাবির আলী ওরফে বাবা খানের দ্বারা একটি কিশোরী হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনাটি ২৪ শে মার্চ, ২০২২ সালে ঘটেছিল এবং অভিযুক্তরা এটিকে আত্মহত্যার মামলা হিসাবে চালাবার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল হয় নি।

কেস নং ৫০: ডিসেম্বর ২০২২ সালে শাহবাজ জন্মগতভাবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ২১ বছর বয়সী নীলকুসুমকে একটি স্ক্রু ড্রা‌ইভার দিয়ে তাকে ৫১ বার নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর মধ্য প্রদেশের কোরবায় এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।

কেস নং ৫১: নভেম্বর ২০১৯ সালে ছত্তিসগড়ের জাঞ্জগির-চাম্পা জেলার নবগড় শহরে সুনিতা কুশ‌ওয়াহা নামে এক মহিলাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, জমির খান নামে একজন ব্যক্তির সাথে দীর্ঘ সম্পর্কের পরে মহিলাটি প্রতারিত হয়েছিল এবং জমির পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পনা মাফিক তাকে হত্যা করেছিল।

কেস নং ৫২: ২০২১ সালে আসামের কোকরাঝাড় জেলার অভয়কুটি গ্রামে আদিবাসী রাভা উপজাতির দুটি নাবালিকা মেয়েকে নিকটবর্তী জঙ্গলে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পা‌ওয়া গিয়েছিল। দু‌ই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সাতজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে অন্তত তিনজন বাংলাদেশী মুসলমান বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনের নাম মুজাম্মিল শেখ, নজিবুল শেখ ও ফারুক রহমান।

কেস নং ৫৩: জুন ২০১৭ সালে হিন্দু মেয়ে নাগাকেথানা নামে একজন এমবি‌এ ছাত্রীকে জুন ২০১৭ সালে চিত্তুর জেলার চন্দ্রগিরি মণ্ডলে মুহাম্মদ তানিশ তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে। নাগাকেথানা মারা যায়।

কেস নং ৫৪: নীলম আহির‌ওয়ার যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং তালিবের সাথে নিকাহ করার পর ধর্মান্তরিত হয়ে আফরোজ বেগম হয়েছিলেন। কিন্তু, ৬ জুলা‌ই ২০২১ সালে ছতরপুরে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মারা যান নিলাম ওরফে আফরোজ বেগম। তাঁর পরিবারের অভিযোগ ছিল যে তাকে খুন করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

কেস নং ৫৫: ২০২১ সালের জুলা‌ই মাসে, ২১ বছর বয়সী কাশিশ পারমারের মৃতদেহ ভোপালের খাজুরি এলাকায় একটি ড্রেনে পড়ে থাকা একটি গুনচটের বস্তার মধ্যে পা‌ওয়া গিয়েছিল। তার মামার মতে, কাশিশ আক্তার আলীর (৩৩) সাথে দেখা করতে বেরিয়েছিল যে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আলী তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে, ছুরিকাঘাত করে এবং তারপর লাশটি বস্তায় ভরে তার বাড়ির কাছে একটি নর্দমায় ফেলে দেয়।

কেস নং ৫৬: ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ সালে কাটিহারের মহিলা পুলিশ কনস্টেবল প্রভা ভারতীকে মোহাম্মদ হাসান ওরফে হাসান আরশাদ নামে একজন ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করেছিলেন। অভিযুক্ত বেশ কিছুদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করে আসছিল এবং তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সে তার ব্যক্তিগত ভিডি‌ও সর্বজনীন করার হুমকি দিত এবং শেষ পর্যন্ত তার মাথায় দুটি গুলি করে হত্যা করে।

মামলা ৫৭: ডিসেম্বর ২০২২ সালে ভাগলপুর জেলার পীরপৈঁতি থানা এলাকায় শনিবার একটি বাজার এলাকার মাঝখানে প্রকাশ্য দিবালোকে নীলম যাদব নামে ৪২ বছর বয়সী বিবাহিত মহিলাকে খুন করে শেখ শাকিল মিয়ান। মিয়ানকে এ‌ই অপরাধে সহায়তা করেছিল তার ভা‌ই মোহাম্মদ জুদ্দিন। ও‌ই দু‌ই ব্যক্তি প্রথমে নীলমের পিঠে ও মাথায় নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করে, যার ফলে সে নিচে পড়ে যায়। এরপর তারা তার হাত, কান ও স্তন কেটে ফেলে এবং তার চোখ উপড়ে নেয়।

কেস নং ৫৮: নভেম্বর ২০২২ সালে হিন্দু মেয়ে মমতা চণ্ডীগড়ের সেক্টর ৪৫-এর বুড়া‌ইল গ্রামে তার বাড়িতে বিবাহিত জিহাদি মোহাম্মদ শারিক (২৫) দ্বারা খুন হয়েছিল। মেয়েটি শারিককে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছিল এবং তাকে তার ফোনে ব্লক করেছিল যা ইসলামপন্থী যৌন নিপীড়ক হিসাবে ইতোমধ্যে কুখ্যাত সারিককে ক্ষুব্ধ করে এবং তাকে খুনি হবার মুখে ঠেলে দেয়।

কেস নং ৫৯: ১০ জানুয়ারী ২০২০ সালে মোহাম্মদ শহীদ তার ‘বান্ধবী’ মুনিগালা হারাথিকে ওয়ারঙ্গল জেলার হানামকোন্ডায় তার বাড়িতে ‘কাফেরের মত আচরণ’ করার সন্দেহে ব্লেড ব্যবহার করে তার গলা কেটে হত্যা করে।

কেস নং ৬০: ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে বিহারের কাটিহার জেলায় একজন প্রাক্তন অনুসরণকারী দ্বারা একজন মহিলা কনস্টেবলকে হত্যা করা হয়েছিল। তার পরিবারের সদস্যরা হত্যার জন্য মোহাম্মদ হাসান ওরফে ছোটকে অভিযোগ করেছে যে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য সে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল।

Disclaimer: উপরের অর্গানাইজার-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। আপনারা এই লিংকে ক্লিক করে আদি নিবন্ধটি পড়তে পারেন।