লাভ জিহাদের বলি হলো এক হিন্দু যুবতী। ওই যুবতীর নাম কাকলি মালি। কাকলি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেয় তাঁর প্রেমিক মমতাজুল আলী মোল্লা। কাকলির দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মমতাজুল আলী মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, কাকলি মালি হিলির বাসিন্দা। বছর খানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মীনাখাঁ থানার কুমারজোল এলাকার বাসিন্দা মমতাজুল আলী মোল্লার সঙ্গে আলাপ হয়। পরে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অভিযোগ, বিবাহিত মমতাজুল মোল্লা নিজের নাম ও ধর্ম পরিচয় গোপন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কাকলির সঙ্গে। এরপর মাস খানেক আগে মমতাজুল আলম মোল্লার সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে মিনাখাঁয় আসে কাকলি। মালঞ্চ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে কাকলিকে নিয়ে থাকতে শুরু করে মমতাজুল।
কাকলির দাদা গণেশ মালি জানিয়েছেন যে মাসখানেক ধরে থাকলেও কাকলিকে বিয়ে করেননি মমতাজুল। বোন ফোন করে সেকথা জানিয়েছিল আমাদের, জানান গণেশ।
পরে পুলিশের ফোন পেয়ে মিনাখাঁতে আসেন গণেশ। জানতে পারেন যে ভাড়া ঘর থেকে তাঁর বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপরই মিনাখাঁ থানায় মমতাজুল মোল্লার বিরুদ্ধে বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন কাকলির দাদা গণেশ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মমতাজুল আলী মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কাকলি। সেই সময় হাসপাতালে পরিচয় হয় কাকলির সঙ্গে। অভিযোগ, বিবাহিত হওয়া সত্বেও কাকলিকে মমতাজুল জানায় যে সে অবিবাহিত এবং তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই প্রেমের ফাঁদে পড়ে শেষমেষ প্রাণ হারালেন কাকলি।