লাভ জিহাদ(Love Jihad)-এর একটি তাজা ঘটনার খবর এসেছে উত্তর প্রদেশের কুশিনগর থেকে। এক হিন্দু তরুণীর অভিযোগ, ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করে আমান খান নামে এক মুসলিম যুবক। তারপর গণধর্ষণ করে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় নেপালের যৌণ পল্লীতে।
ইতিমধ্যে তরুণীর বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভিডিওতে তরুণী বর্ণনা করেছেন কিভাবে তাকে প্রেমের জালে ফাঁসানো হয়েছিল। যখন জানতে পারেন যে ওই যুবক মুসলিম, তখন তিনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে চরম প্রতিশোধ নেন আমান খান নামে এক যুবক।
জানা গিয়েছে, গত ১লা জুলাই চিপস্ কিনতে দোকানে গিয়ে আর ফেরেননি সদ্য আঠারোতে পা দেওয়া ওই তরুণী। ওই দিনই হাতা থানায় তরুণীর মা লিখিত অভিযোগ(FIR Number- ৪০৭/২০২৩) দায়ের করেন। অভিযোগে তরুণীর মা জানায় যে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। আমান খান বহুদিন থেকেই তাকে হুমকি দিচ্ছিলো বলেও অভিযোগ করেন ওই তরুণীর মা নীলম মিশ্র।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু তরুণীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষমেষ ফোনের সূত্র ধরে গত ৪ঠা জুলাই তরুণীকে নেপালের এক যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ৮ই জুলাই মূল অভিযুক্ত আমান খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ওই তরুণীর দেওয়া বয়ানে উঠে এসেছে লাভ জিহাদের ভয়াবহ ফাঁদের কথা।
ওই তরুণী জানায় যে কোচিং পড়তে গিয়ে আমানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আমান নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দেয়। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক চলাকালীন বেশ কয়েকবার দেখা করে এবং শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেই সময় ওই তরুণীর অজান্তে তাঁর ছবি ও ভিডিও রেকর্ড করে রাখে আমান। তারপর থেকেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল।
ওই তরুণীর অভিযোগ, ওই ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করে আমান খান। ইসলামে ধর্মান্তরিত না হলে ফল ভালো হবে না বলে হুমকি দিতে শুরু করে। গরুর মাংস খাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে ওই তরুণী কথা বলা বন্ধ করে দেন। তরুণীকে হুমকি দেওয়ার সেই সব চ্যাট সামনে এসেছে। মেসেজ করে আমান হুমকি দেয়, ‘আমি মুসলিম। আমি গরু কাটতে ইতস্তত বোধ করিনা, তোমাকেও কাটতে কোনও সমস্যা হবে না।’
ওই হিন্দু তরুণী জানিয়েছে যে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনার দিন দোকান থেকে চিপস্ কিনে ফিরছিল সে। তাকে ফোন করে একজন অচেনা ব্যক্তি বলে যা তাঁর বাবা দুর্ঘটনায় পড়েছে এবং আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। এটা শোনার পরই রাস্তায় যায় সে। সেখানে রাস্তায় তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। তাঁর মুখে কাপড় চাপা দেওয়া হয় এবং জ্ঞান হারায় সে। জ্ঞান ফিরতে সে দেখে যে নেপালের যৌনপল্লীতে রয়েছে সে, জানিয়েছে ওই তরুণী। সেখানে জিজ্ঞেস করে ওই তরুণী জানতে পারে যে তাকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ওইদিন রাতেই তাঁর কাছে একজন কাস্টমার আসে এবং তাকে ধর্ষণ করে। পরেরদিন একইভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
দুই দিন যৌনপল্লীতে থাকার পর ওখানে থাকা আর একটি মেয়ের সাহায্য নিয়ে বাড়িতে ফোন করে সে। মেয়ের ফোন পেয়ে থানায় ছুটে যান তাঁর পিতা। তারপর ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ওই তরুণীকে নেপাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর বয়ানের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আরও বেশ কয়েকটি ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ। পূর্বে অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৬৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। পরে ৩৭৬(ধর্ষণ), ৩৭৬D(গণধর্ষণ) এবং Uttar Pradesh Freedom of Religion Act-এর ৩/৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। হাতা থানার অফিসার নির্ভয় সিং জানিয়েছেন, আমান খান ছাড়াও আশুতোষ ভার্মা এবং শিবম মিশ্র নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে ওই হিন্দু তরুণীর পিতা দিলীপ মিশ্র ধৃতদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ধৃতদের বাড়িতে বুলডোজার চালিয়ে দিক প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওই তরুণীর পিতা।
(Credits: The above article is written based on inputs from a article published in Organiser. CLICK HERE to read the original Story)