মণিপুরের দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় যখন দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে, সেই সময় বামপন্থীরা ব্যস্ত নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে। জওহারলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী নেত্রী ঐশী ঘোষ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ(RSS)-কে টেনে আনলেন এর মধ্যে। মণিপুরের হিংসার ঘটনায় জড়ানোর চেষ্টা করলেন RSS-কে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন ঐশী ঘোষ। সেই পোস্টের ক্যাপশন দেন “Let my country awake, #Manipur Violence”.
নিচে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে একটি নগ্ন মেয়েকে লাল রঙের ক্রসে ঝোলানো হয়েছে। এমনভাবে ঝোলানো হয়েছে, যেনো ওই মেয়েটিকে ক্রসে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ছবিতে এক ব্যক্তি হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, হাফ প্যান্ট পরা এবং মাথায় টুপি পরা। ব্যক্তিটির দাঁড়ানোর ভঙ্গি হুবহু আরএসএস স্বয়ংসেবকদের মতো। পাশে লেখা, “Hindu Rashtra: A Bottomless Pit of Depravity, Sinking Lower Every Day!”
আর সেই ছবি দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনরা। মণিপুর হিংসায় কিভাবে RSS জড়িত, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন অনেকে।
কেউ আবার মণিপুর হিংসায় জড়িয়ে হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণাকে এভাবে অবমাননা করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নিজের বামপন্থী এজেন্ডার জন্য এভাবে অন্য ভাবধারার অপমানে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অনেকে।
কেউ কেউ আবার মন্তব্য করেছেন যে মণিপুরে আরএসএস থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না।
কেউ কেউ বলছেন যে পশ্চিমবঙ্গে যখন হিংসার বলি হয়েছিলেন বহু মানুষ, ধর্ষিতা হয়েছিলেন বহু মহিলা, তখন কোথায় ছিলেন ঐশী ঘোষ, সেই প্রশ্ন করেছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, দেশ বিরোধীদের আখড়া দিল্লীর JNU বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী নেত্রী ঐশী ঘোষ। CAA বিরোধী হিংসার সময়ে বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁরই উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ ভাঙ্গার স্লোগান দেওয়া হয়েছিল, ‘ভারত তেরি টুকরে হোঙ্গে, ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ।’ আর সেই ঐশী ঘোষ এবার নিজের দেশ বিরোধী বামপন্থী এজেন্ডা ছড়াতে কোনও কারণ ছাড়াই আরএসএস-কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করলেন ঐশী ঘোষ।
( Credits: The above article is composed based on inputs from a article published in News Bharati. CLICK HERE to read the original Story.)