এবারে খোদ কলকাতা শহরের বুকে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠলো। মন্দিরে হামলা চালিয়ে পূজার উপাচার ভাঙচুর করার পাশাপাশি একটি হনুমান মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘটনা চিৎপুর এলাকার।
খবর অনুযায়ী, চিৎপুর এলাকায় স্থানীয় হিন্দুদের আয়োজনে শীতলা মাতার পূজার্চনা চলছিল। আশেপাশের এলাকার কিছু বিধর্মী দুষ্কৃতী দাবি করে যে আযানের সময় কাঁসর, ঘণ্টা ও মাইক বাজানো যাবে না। হিন্দুরা তা মানতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তাঁরা।
অভিযোগ, আচমকাই পূজা মন্ডপ ও আশেপাশের মন্দিরে হামলা চালায় তাঁরা। ভাংচুর করা হয় পূজার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র। পাশে থাকা একটি শ্রী হনুমান মন্দিরে হামলা চালায় বিধর্মীরা। ভিতরে থাকা মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পরমাত্মা নন্দজি মহারাজ। সাধু মহারাজের নেতৃত্বে শুরু হয় প্রতিবাদ। ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে প্রতিবাদে যোগ দেন স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দারা। হামলায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি। মহারাজের অভিযোগ, “প্রশাসন কিছুই করছে না, নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এমতবস্থায় আন্দোলন ছাড়া পথ নেই।”