হোটেলের নাম হিন্দু। হোটেলে নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হয়, লেখা ছিল এমন বোর্ডও। এমনকি হিন্দু কাস্টমারদের আস্থা অর্জন করতে হোটেলের এক স্থানে বসানো হয়েছিল গণেশ ঠাকুরের মূর্তি। কিন্তু হোটেলের মালিক মুসলিম। আর এমন প্রতারণার প্রতিবাদ করে ভিডিও বানানোর কারণে এক ইউটিউবারকে গ্রেপ্তার করলো কেরালা পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ইউটিউবারের নাম ভিকে বাইজু। তিনি মালাপ্পুরম জেলার পুক্কত্তুপাদম এলাকার বাসিন্দা। কয়েকদিন আগে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি হোটেল সম্বন্ধে ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি। সেই ভিডিওতে মালাপ্পুরমের বিখ্যাত নিরামিষ হোটেল সম্বন্ধে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
ভিডিও অনুযায়ী, হনুমান মন্দির থেকে ফেরার সময় ‘আরিয়াস’ নামে একটি নিরামিষ হোটেলে ঢোকেন তিনি। হোটেলের নাম লেখা ছিল মালয়ালম ভাষায় এবং হোটেলের ভিতরে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখা ছিল। ভিডিওতে ওই ইউটিউবার মন্তব্য করেন যে হিন্দু কাস্টমারদের বিশ্বাস অর্জন করতে হোটেলের ভিতরে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখা হয়েছে। এভাবে হিন্দু কাস্টমারদের প্রতারণা করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মুসলিম লোকেরা, ভিডিওতে মন্তব্য করেন তিনি।
ভিডিওতে আরও বলেন যে ঠাকুরের মূর্তি রেখে নিরামিষ হোটেলের নামে হিন্দুদের হালাল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। হিন্দুদের পরিচালিত নিরামিষ হোটেল মুসলিমদের দ্বারা পরিচালিত হোটেলের থেকে বেশি পরিষ্কার এবং খাবারের গুণমান ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেই সঙ্গে ভিডিওতে তিনি আরও বলেন যে দেশের বিভিন্ন হোটেলে হালালের নামে খাবারের থুতু দেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই সব ভিডিও দেখার পর হিন্দুদের উচিত মুসলিমদের হোটেলে না খাওয়া।
সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর মালাপ্পুরম পুলিশের নজরে আসে। জেলার পুলিশ সুপার ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করার নির্দেশ দেন। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে পেরিন্থালামান্না থানায় একটি কেস রুজু হয়। এছাড়াও গত ২৪শে জুন, কেরালার ব্যবসায়ীদের ইউনিয়ন ( The Kerala Vyapara Vyavasayi (Merchant’s) Association and the Hotel and Restaurant Association) ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
তারপরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া, ঘৃনা ছড়ানো সমেত একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
( CLICK HERE to read the original Story by Indus Scrolls)
Image Credits: Indus Scrolls