জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়িতে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক জনজাতিয় মহিলা। ওই মহিলাকে অস্ত্র দেখিয়ে প্রথমে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলে এবং তারপর গণধর্ষণ করা হয়। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভুটু শেখ, মফিজুল ইসলাম এবং নূর আলম নাম তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য এক অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্তমানে পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে। জনজাতিয় সম্প্রদায়ের ওই মহিলা বিধবা। স্বামীর মৃত্যুর পর এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত সাঁকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাড়িতে থাকতেন। গত ১৩ই ডিসেম্বর, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় চার জন ব্যক্তি। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তারপর বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় তাকে। তারপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষন পরে ওই মহিলার চিৎকারে ছুটে আসেন লোকজনেরা। তাঁরাই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ধূপগুড়ি থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা মহিলা। পুলিশ ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য এক অভিযুক্ত বর্তমানে পলাতক। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। একাধিক সংগঠন ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে।