রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেশ থেকে তাড়াতে হবে, এমন দাবিতে উত্তাল হলো ইন্দোনেশিয়ার শহর বান্দা এসহ। বিক্ষোভরত জনতার দাবি, রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে তাদের দেশ থেকে তাড়ানো হোক।
আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য প্রচার চলছিল। রোহিঙ্গাদের শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে দেশটিতে থাকতে দেওয়ার বিরোধিতায় মত প্রকাশ করছিলেন অনেকে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো ২৭শে ডিসেম্বর। একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র শহরের একটি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়, যে ভবনে রোহিঙ্গাদের বর্তমানে রাখা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বাইরে টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। তাদের দাবি, রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে তাড়াতে হবে। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
উল্লেখ্য, বিক্ষোভকারীরা সকলেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের মধ্যে অনেকেই হাতে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন। বিক্ষোভ থেকে স্লোগান ওঠে, ‘রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে তাড়াও’, ‘এই শহরে রোহিঙ্গাদের কোনও স্থান নেই’। যদিও কিছুক্ষনের মধ্যে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশের নিরাপত্তায় দুটি ট্রাকে করে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আর এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্র সংঘের শরণার্থী এজেন্সি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে এমন ঘটনায় তাঁরা চিন্তিত এবং শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে একটি নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে এসে পৌঁছায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের একটি নৌকা। ১৩৭ জনের রোহিঙ্গাদের ওই দলটি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলো। প্রথমে দেশে প্রবেশ করতে না দিলেও নৌকায় খাদ্য ও পানীয় জল নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় সমুদ্র উপকূলে নামার অনুমতি দেয় ইন্দোনেশিয়ার সরকার। পরে রাষ্ট্র সংঘের মধ্যস্থতায় বান্দা এসহ শহরের একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল তাদের। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া মুসলিম রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে রাজি নয় দেশটির সরকার কিংবা জনগণ।