© অমিত
আজকাল সেক্যুলার এবং লিবারেল মানুষজনদের একটা কথা বলতে শোনা যায় যে শিক্ষিত হলে মানুষের পরিবর্তন হয়। শিক্ষিত মানুষ নাকি ধর্মান্ধ হয়না। বিশেষ করে কোনও মুসলিম যখন সন্ত্রাসবাদী কিংবা জিহাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার কারণে গ্রেপ্তার হয়, তখন একদল মানুষ নেমে পড়ে তাকে নিরীহ প্রমাণ করতে। শিক্ষা না থাকার কারণে সে এমনটা হয়েছে, এমনই বলা হয়। আর একটু ভাবল পরিষ্কার হয় যে হিন্দুদের বোকা বানানোর জন্য, আসল সত্য লুকিয়ে রাখার জন্য এমনটা বলা হয়।
কয়েকদিন আগের ঘটনা। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে লারেব হাশমি নামে এক মুসলিম যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে একজন হিন্দু ব্যক্তিকে কুপিয়ে, গলা কেটে খুনের চেষ্টা করলো। শেষে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই হিন্দু ব্যক্তির। কিন্তু কেনো এমনটা করলো লারেব? রাগের মাথায় নাকি ঠান্ডা মাথায়? এসব নিয়ে সেকুলারদের ন্যারেটিভ বাজারে আসার আগেই অবশ্য হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে লারেব নিজেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ করে ওই মুসলিম যুবক। তাঁর সেই ভিডিওর ছত্রে ছত্রে কাফেরদের(অমুসলিম) বিরুদ্ধে ঘৃনা ঝরে পড়ছিল। তাকে বলতে শোনা যায়, “ওই কাফেরকে কুপিয়েছি। ইনশাল্লাহ, সে বাঁচবে না। যারাই ইসলামের, হুজুরের অপমান করবে, সবাইকে হত্যা করবো।”
এছাড়াও মুসলমানদের জান মাল নিয়ে জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানায় সে। আরও কী কী বলেছে, সেটা নিজেই শুনে নিন। বুঝে নিন।
খবর অনুযায়ী, লারেব হাশমি লস্কর কিংবা আল কায়েদা কিংবা ইসলামিক স্টেটের মতো জিহাদী গোষ্ঠীর সদস্য ছিল না। এইসব জিহাদী গোষ্ঠীর কোথাও সে ট্রেনিং পায়নি। সে মাদ্রাসার ছাত্রও ছিল না। সে সাধারণ স্কুলেই পড়াশুনো করেছে। প্রয়াগরাজের ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল সে। কিন্তু কেনো সে জিহাদিদের মত একজন অমুসলিমের গলা কাটতে গেলো? কেনো সে একজন অমুসলিমকে ভাই না ভেবে কাফের বলে ঘৃনা করতে শুরু করলো? এমন শিক্ষা সে কোথা থেকে পেলো?
যদিও কোথাও আপত্তি থাকে, তবে আইন আছে, পুলিশ আছে, আদালত আছে। সেসব না করে কেনো গলা কাটতে হবে? গলা কাটতে গিয়ে একজন শিক্ষিত, ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের কেনো হাত কাঁপলো না? গলা কাটার শিক্ষা সে কোথা থেকে পেলো? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হবে।
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হবে।
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হবে।
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হবে।