প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃনা সূচক মন্তব্য করলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য। বললেন, “হিন্দু বলে কোনও ধর্ম নেই। হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি মানুষকে ঠকানোর জন্য।” আর তাঁর এই ঘৃণ্য মন্তব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলেও সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে তেমন কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দেশে ক্রমাগত হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়াচ্ছেন এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা। তাদের মধ্যে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ছাড়াও রয়েছে দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল। সদ্য ওই সব রাজনৈতিক দলগুলি এক ছাতার তলায় এসেছে। জোটের নাম হয়েছে আই এন ডি আই এ(I.N.D.I.A)।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা মৌর্য বলেন, “ ব্রাহ্মণ্যবাদকে হিন্দু ধর্ম বলে চালানো হচ্ছে। আসলে হিন্দু ধর্ম বলে কোনও ধর্মই নেই। এই ধর্ম আসলে মানুষকে ঠকানোর জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। সমাজের পিছিয়ে পড়া, দলিত মানুষদের শোষণ করার জন্য এই ধর্ম চালু করা হয়েছিল।”
সমাজবাদী পার্টির নেতার এহেন মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে হিন্দু ধর্মের বিরোধিতার সূত্রে বিষয়টিকে দেখছেন। কারণ হিন্দু বিরোধী দল হিসেবে সমাজবাদী পার্টি সুপরিচিত। শুধু তাই নয়, রাম মন্দির আন্দোলনের সময় সমাজবাদী পার্টির সরকার নিরীহ রাম ভক্তদের উপরে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়।
এছাড়াও, সমাজবাদী পার্টি হিন্দু বিরোধী আই এন ডি আই এ জোটের শরিক। আর এই জোটে দেশের হিন্দু বিরোধী পার্টি হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস রয়েছে। অতীতে কংগ্রেসের একাধিক নেতা হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘৃনা সূচক মন্তব্য করেছেন। দিগ্বিজয় সিং, রাহুল গান্ধীর মত নেতারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃনা সূচক মন্তব্য করেছেন। এবার সেই সুরে মন্তব্য করলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য।