ডাক্তারি পড়তে যাওয়া হিন্দু ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে, গর্ভবতী হওয়ায় তালাক দিলো বাংলাদেশি আবদুল ওয়াকিল



Updated: 13 June, 2023 9:56 am IST

বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া এক ভারতীয় হিন্দু ছাত্রী লাভ জিহাদের শিকার হলেন। বর্তমানে ওই ছাত্রী পাঁচ মাসের গর্ভবতী এবং বাংলাদেশের ঢাকার আদালতে মামলা লড়ছেন। ঘটনাটি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের মিডিয়ায় ভাইরাল।

জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম অমৃতা দত্ত। বাঙ্গালী ওই ছাত্রী ২০১৯ সালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পড়তে যান। সেখানেই পড়াশুনা করার সময় ফেসবুকে ২০২২ সালে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় ময়মনসিংহের বাসিন্দা আবদুল ওয়াকিলের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়।

বাংলাদেশি মিডিয়ায় দেওয়া ওই ছাত্রীর বয়ান অনুযায়ী, প্রেমিক আবদুল ওয়াকিলকে বিয়ে করে জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই মতো হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। তাঁর নতুন নাম মেহজাবিন চৌধুরী। তারপর ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রেমিক আবদুলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই ঢাকা শহরের একটি ভাড়াবাড়িতে দুজনে থাকতে শুরু করেন।

কিন্তু নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিলে অমৃতা ওরফে মেহজাবিনকে তালাক দেয় আবদুল। গত ৬ই এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে মেহজাবিনকে এক তরফা তালাক দেয় আবদুল। আবদুল পরে ফোন করে মেহজাবিনকে বোঝায় যে সে সংসার করতে চায় এবং দেখা করার কথা বলে। পরে দুজনে কক্সবাজারে ঘুরতে যায়। সেখানে আবদুল তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ মেহজাবিনের। পরে ৭ই মে, ২০২৩ তারিখে ফের একবার দেখা করে আবদুল এবং গর্ভবতী অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে। তারপর চলে যায়।

এদিকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করায় অমৃতা ওরফে মেহজাবিনকে বাড়ি থেকে ত্যাজ্য করেছে তাঁর পরিবার। এমতবস্থায় নিজের সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন অমৃতা ওরফে মেহজাবিন। বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে সে এবং নিজের সন্তানের পিতৃ পরিচয় চেয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।