নামাজ পড়তে চাওয়া এক হিন্দু মেয়েকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলো উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। গত ১১ই মে, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেয় যে রুরকি এলাকার কালিয়ার মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া ওই হিন্দু তরুণীর জন্য যেনো পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
ভাবনা(২২) নামে এক হিন্দু তরুণী নামাজ পড়তে চেয়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্টে দায়ের করা পিটিশনে ওই মহিলা দাবি করেছিলেন যে তিনি ধর্মে হিন্দু। কিন্তু তাঁর বন্ধুর প্রভাবে নামাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। তাই তিনি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে চান, কিন্তু ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে চান না।
ওই তরুণী আরও দাবি করেন যে তিনি নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা তাকে ভয় দেখাচ্ছেন। তাই পুলিশকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিক আদালত।
এই পিটিশনের শুনানিতে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি মনোজ কুমার তিওয়ারি এবং বিচারপতি পঙ্কজ পূরহি আবেদনকারী মহিলাকে একাধিক প্রশ্ন করেন। কেনো ওই মহিলা নামাজ পড়তে চান, তা জানতে চান ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। প্রশ্নের উত্তরে ভাবনা জানায় যে সে তাঁর বন্ধু ফরমান-এর সঙ্গে পিরান কালিয়ার মসজিদে গিয়েছিল। মসজিদের পরিবেশ এতটা ভালো লেগে গিয়েছে যে, সে নামাজ পড়তে চায়।
তারপরই বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ স্থানীয় পুলিশকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন, যাতে ওই মহিলা নির্বিঘ্নে নামাজ পড়তে পারেন।
উল্লেখ্য, ভাবনা(২২) নামে ওই মহিলা আদতে মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে গত কয়েকবছর ধরে হরিদ্বারে রয়েছে সে। সেখানেই একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন ভাবনা। সেখানেই কাজ করতে গিয়ে পরিচয় মুসলিম যুবক ফরমানের সঙ্গে। দুজনে গত দুই বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন।