লাভ জিহাদের শিকার হয়ে এক প্রকার খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের এক হিন্দু তরুণী।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বর্তমান নাম সাগরিকা বিবি। পূর্বে নাম ছিল সাগরিকা হালদার। সে গঙ্গা সাগর কোস্টাল থানার অন্তর্গত বেগুয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা।
ওই হিন্দু তরুণীর অভিযোগ, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে শেখ দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সঙ্গে তাদের পরিবারের ভালো সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে ২০১৫ সালে দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এক নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সেই সময় তাকে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে দেলোয়ার। এমনকি কিছু অশ্লীল ছবি ও ভিডিও রেকর্ড করে রাখে সে, অভিযোগ তাঁর।
আর তারপর থেকে সেই সব ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। তাকে হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সবমিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা নেওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে। তারপরও থামেনি হুমকি। এক প্রকার জোর করা হয় বিয়ে করতে।
ওই তরুণীর অভিযোগ, ওই বছরে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কাকদ্বীপ শহরের এক জায়গায় তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। তারপর তাকে বিয়ে করে শেখ দেলোয়ার হোসেন। বিয়ের পরে তাকে তামিলাড়ুতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেরালা। তারপর থেকেই দুজনে কেরালায় থাকছিলেন।
ওই তরুণীর অভিযোগ, কিছুদিনের মধ্যে ওই যুবক অন্য এক মুসলিম তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাই তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য শুরু হয় নির্যাতন। ইতিমধ্যে ওই তরুণী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এমনকি তাকে মারধর করা হতো বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
শেষে গ্রামের শশুর বাড়িতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন যে দেলোয়ারের বাড়িতে আর একজন বউ রয়েছে। তাকে শশুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ঢুকতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়।
শেষে সুবিচার চেয়ে গঙ্গা সাগর কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী, যার FIR নম্বর ৫৮/২৩। পুলিশ তাকে সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী।
বর্তমানে শিশু সন্তানকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল খাটিয়ে দিন কাটাচ্ছেন ওই তরুণী। প্রতিবেশীরা খাবার এবং জামাকাপড় দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন।