হিমাচল প্রদেশের চাম্বায় হিন্দু যুবককে খুনের তদন্তে নেমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেলো পুলিশ। অভিযোগ, ওই যুবকের সঙ্গে স্থানীয় এক মুসলিম তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ওই যুবককে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, গত ৬ই জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন চাম্বা জেলার সালুনি থানার অন্তর্গত বান্দাল গ্রামের বাসিন্দা মনোহর লাল। পরে ৯ই জুন, গ্রামের একটি ঝোপ থেকে একটি বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই বস্তার ভিতর থেকে মনোহর লালের দেহ উদ্ধার হয়। মনোহর লালের দেহকে ৮ টুকরো করে বস্তায় ভরা ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দুজন নাবালিকা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ASP) বিনোদ কুমার ধীমান বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে খুন হওয়া মনোহর লালের সঙ্গে অভিযুক্তের বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই রাগ থেকেই এই খুন। এর মধ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক ঘৃনা নেই।”
উল্লেখ্য, গ্রামের মুসলিম তরুণী রুকসানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মনোহর লালের। সেই সম্পর্কে তীব্র আপত্তি ছিল রুকসানার পরিবারের। তাই মনোহর লালকে খুনের পরিকল্পনা করে রুকসানার দাদা সাব্বির এবং পরিবারের অন্যান্যরা। ওইদিন অর্থাৎ ৬ই জুন সন্ধায় মনোহর লাল কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাকে খুন করা হয়। তারপর তাঁর দেহের ৮টি টুকরো করে বস্তায় ভরে ফেলে দেয় ধৃতরা।
এদিকে ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বজরং দলও। আর এসবের কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছেন মুসলিম নেতারা। একাধিক মুসলিম সংগঠনের নেতারা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ধৃতদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তের দেখভাল করছেন স্বয়ং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনোদ কুমার ধীমান।