গুজরাট: ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশি তরুণীর প্রেমের ফাঁদে পড়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হলেন হিন্দু যুবক



Updated: 11 July, 2023 8:03 am IST

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে হিন্দুদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ঘটছে। ইদানিং সময়ে তেমন বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। এবার তেমনই একটি ঘটনার খবর এলো গুজরাটের রাজকোট জেলার জেতপুর থেকে। ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশি তরুণীর প্রেমের ফাঁদে পড়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হলেন এক হিন্দু যুবক।

জানা গিয়েছে, জেতপুরার বাসিন্দা আশীষ গোস্বামী(২২)। বছর খানেক আগে তাঁর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয় এক বাংলাদেশি মুসলিম তরুণীর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরে ওই তরুণী আশীষকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপরই ধীরে ধীরে ওই যুবকের মগজধোলাই শুরু করে ওই বাংলাদেশি মুসলিম তরুণী।

আশীষের পরিবারের অভিযোগ, প্রায় ৬ মাস আগে থেকে তাঁর মধ্যে পরিবর্তন দেখা যেতে শুরু করে। রাত জেগে জাকির নায়েকের ভিডিও দেখতে শুরু করে আশীষ। পরিবারের লোকজন জিজ্ঞেস করলে বলতো যে সে সময় কাটানোর জন্য ভিডিও দেখছে। তারপরই ওই বাংলাদেশি তরুণীর ফাঁদে পড়ে বাড়িতেই নামাজ পড়তে শুরু করে আশীষ। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে এক সময় বাড়ি ছেড়ে চলে যায় সে।

তারপর থেকেই স্থানীয় একটি মসজিদে থাকতে শুরু করে সে। ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় এবং ইসলামিক রীতি অনুযায়ী নিজের নাম রাখে শেখ মহম্মদ আসলামী। মসজিদে থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন মাদ্রাসায় থাকতে শুরু করেছিল সে।

কিছুদিন আগে ঘটনার কথা জানাজানি হয় তখনই যখন আশীষকে সুন্নত করানোর জন্য দুই জন মুসলিম যুবক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা চিকিৎসক আশীষের কাগজপত্রে হিন্দু নাম এবং লেখা ফর্মে মুসলিম নাম দেখে আশীষের বাড়ির নম্বরে ফোন করে খবর দেন। আশীষের পিতা মাতা স্থানীয় হিন্দু সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে থানায় যান। হিন্দুদের ভিড় দেখে পালিয়ে যায় দুই মুসলিম যুবক। কিন্তু অনেক বোঝানোর পরেও আশীষ বাড়ি ফিরতে রাজি হয়নি।

এদিকে হাসপাতালে আশীষের প্রতিবেশী এবং হিন্দু সংগঠনের সদস্যদের ভিড় বাড়তে থাকায় জেতপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ আশীষকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে আশীষের পিতা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং কিভাবে তাঁর পুত্রকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হলো, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের দাবি জানান।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আশীষের ফোন পরীক্ষা করে দেখে যে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আশীষ ওই বাংলাদেশি মুসলিম তরুণীর সঙ্গে লাগাতার কথা বলতো। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আশীষকে বিভিন্ন ইসলামিক নিয়ম পালনের কথা বলতো সে। পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত যে হিন্দু যুবকদের মগজধোলাই করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করতে একটি নেটওয়ার্ক কাজ করছে দেশে। তাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্থানীয় হিন্দু সংগঠন এবং আশীষের প্রতিবেশীরা মিলে তাকে ফের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে এনেছে। শুদ্ধি যজ্ঞের মাধ্যমে আশীষকে পুনরায় হিন্দু ধর্মে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।