© শ্রী সূর্য শেখর হালদার
আমরা সবাই জানি 21শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। 1952 খ্রিস্টাব্দে এইদিন পূর্ব পাকিস্তানের( বর্তমান বাংলাদেশ) সাধারণ জনগণ তাদের মাতৃভাষা বাংলার উপর উর্দু চাপিয়ে দেবার প্রতিবাদে পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালায়। উল্লেখ্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা, কিন্তু পাকিস্তান সরকার একমাত্র উর্দুই জাতীয় ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছিল। এরই প্রতিবাদে হয় ভাষা আন্দোলন যাতে প্রচুর সংখ্যক ছাত্র মৃত্যু ঘটে। এটি ছিল পাকিস্তানের সরকার দ্বারা সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ড। এই ভাষা আন্দোলনের অন্যতম হোতা ছিলেন শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তেইশে ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সাল। আজকের বাংলাদেশ তখন পূর্ব পাকিস্তান। করাচিতে সত্য গঠিত পাকিস্তানের গণপরিষদে যখন দেশের রাষ্ট্রভাষা কি হবে সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে তখন তখন জিন্নাহর সামনে উঠে দাঁড়িয়ে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে পাকিস্তানের সরকারি ভাষা রূপে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানান। তার বক্তব্য ছিল দেশের ছয় কোটি নব্বই লক্ষ মানুষের মধ্যে চার কোটি চল্লিশ লক্ষ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন অতএব বাংলা হওয়া উচিত পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা। তাঁর এই প্রস্তাব অবশ্য সেদিন মান্যতা পায় নি কিন্তু পরবর্তী কালে তার ভিত্তিতেই হয় এই ভাষা আন্দোলন।
এই ঘটনার পর গঙ্গা-পদ্মা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে যেসব এথনিক জনগোষ্ঠীর বাস, তাদের কারোরই মাতৃভাষা উর্দু ছিলনা। তাই পশ্চিমবঙ্গে উর্দু চর্চা কখনোই ব্যাপক হারে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে নি: বরং পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বরাবরের সহানুভূতি ছিল উর্দুর প্রতিবাদে আন্দোলনকারী বাংলা ভাষা প্রেমীদের প্রতি। যদিও ভাষা আন্দোলনে বীরগতি প্রাপ্ত ছাত্র- যুবরা সবাই পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন, তবুও পশ্চিমবঙ্গবাসী এনাদের চিরকালই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করত। এখনো এই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে ভাষা আন্দোলনে বীরগতি প্রাপ্তদের স্মরণে নির্মিত বেদী, ভবন দেখা যায়। কলিকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলাতে (এসপ্ল্যানেড )রয়েছে ভাষা উদ্যান। বাংলা ভাষার জন্য আত্মবলিদানকারী রফিক, সালাম ,জব্বারদের স্মরণ করে এই উদ্যান নির্মিত হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার সম্মান আজ কতটা? বাংলা ভাষার বিকল্প হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে উর্দু ভাষাকে, যদিও উর্দু ভাষাভাষীর সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে নগণ্য ।এই নিবন্ধে এই বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করার চেষ্টা রইল।
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ সৃষ্টি হয় 1947 খ্রিস্টাব্দের 20 জুন । প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য 1940 এর দশকে বাংলা প্রদেশই ছিল একমাত্র প্রদেশ, যেখানে মুসলিম লীগ নামক একটি সাম্প্রদায়িক দল ক্ষমতায় আসীন ছিল । মুসলিম লীগ দলের নেতা ও তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সুরাবর্দী সাহেব চেয়েছিলেন সমগ্র বাংলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে। পাকিস্তান তৈরীর অন্যতম কারিগর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এই দাবি তুলে ধরেন। সেসময়কার অবিভক্ত বঙ্গের অমুসলিম রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যাঁরা পাকিস্তানে সমগ্র বাংলার অন্তর্ভুক্তির দাবি কে নীরব সমর্থন করেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল ( ইনি মুসলিম লীগের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন) এবং পরবর্তীকালে 23 বছর পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকা জ্যোতি বসু । এই সময় বাংলা ভাষাভাষী হিন্দুদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৈরীর আন্দোলন করেন ভারত কেশরী ড: শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই আন্দোলনের ফলে অবিভক্ত বাংলার আইন সভায় পশ্চিমবঙ্গ তৈরির প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হয় এবং এই ভোটাভুটিতে 58-21 ভোটে হিন্দু প্রধান অঞ্চল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৈরীর প্রস্তাব পাস হয়। উল্লেখ্য জ্যোতি বসু, প্রফুল্ল সেন এর মত নেতারাও কিন্তু সেদিন পশ্চিমবঙ্গ তৈরীর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। যে 21 জন বিপক্ষে ভোট দেন তাঁরা সবাই মুসলিম লীগের পক্ষে ছিলেন। যাইহোক নতুন রাজ্যে যেহেতু বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা বেশি, তাই বাংলা হয় পশ্চিমবঙ্গের প্রধান সরকারী ভাষা। সঙ্গে থাকে ইংরেজি।
এই ইতিহাস প্রমাণ করে যে পাকিস্তান ও উর্দু ভাষার বিরুদ্ধে লড়াই করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৈরি হয় এবং বাংলা ভাষা স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু পরবর্তীকালে চিত্র আবার বদলাতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ এক কালে উর্দুর বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা লাভও করেছিল। কিন্তু নতুন দেশ হবার পর থেকে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উর্দু ভাষা ও পাকিস্তানি সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরতে থাকে। বহু উর্দু শব্দ বাংলাদেশের বাংলা তে প্রবেশ করে যেমন আব্বা (বাবা), গোসল (স্নান ), দাওয়াত ( ভোজের নিমন্ত্রণ), পানি (জল) ইত্যাদি। তবে একটা
দীর্ঘ সময় পশ্চিমবঙ্গতে এই প্রভাব অনুভূত হয়নি। প্রথম সেটি হয় 1978 খ্রিস্টাব্দে যখন উর্দু ভাষাকে তুলে ধরার অভিপ্রায় নিয়ে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি। এই একাডেমির উদ্দেশ্য হলো উর্দু ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা রাজ্যে বৃদ্ধি করা, উর্দু ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষাদান করা, উর্দুতে বিভিন্ন বইপত্র প্রকাশ করা । এই সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। স্মরণ করা যেতে পারে যে তাঁর আদি বাসস্থান কিন্তু ছিল পূর্ব পাকিস্তান আর তিনি মুসলিম লীগের পাকিস্তান প্রস্তাবও এক কালে সমর্থন করেছিলেন। এখন প্রশ্ন হল যে রাজ্যের প্রধান ভাষা স্বীকৃতি লাভ করে উর্দুর বিরুদ্ধে লড়াই করে: যে রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় উর্দুভাষী পাকিস্তান এর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, সেখানে উর্দু ভাষার উন্নতির জন্য একাডেমী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি? এই প্রসঙ্গে আরও বলা যেতে পারে বাংলা ভাষার উন্নতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি তৈরি হয় 1986 খ্রিস্টাব্দে । অর্থাৎ উর্দু একাডেমি তৈরীর আট বছর বাদে। আর পশ্চিমবঙ্গে যে আরো কয়েকটি ভাষার জনগোষ্ঠী থাকে (সাঁওতালি, হিন্দি, নেপালি) তাদের ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতির জন্য সে সময় অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোন দরদ দেখা দেয় নি, যদিও জনসংখ্যার বিচারে পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষাভাষী জনগণের পরেই স্থান হিন্দি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর। 2011 খ্রিস্টাব্দের ভারত সরকারের সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে প্রতি 10 হাজার জনের মধ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলে 8622 জন , হিন্দিতে কথা বলে 696 জন, উর্দু তে কথা বলে 3 জন, সাঁওতালিতে কথা বলে 68 জন , নেপালি তে 191 জন। প্রতি 10000 জনে বাকি 420 জন কথা বলে অন্যান্য ভাষাতে।
পশ্চিমবঙ্গের শাসক বদলালেও ইতিহাসের বিপরীতে গিয়ে উর্দু প্রীতি বদলানো হল না। 2011 খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর 2012 খ্রিস্টাব্দে দেখা গেল উর্দু হল পশ্চিমবাংলার অতিরিক্ত সরকারি ভাষা (additional official language) । এখানেও ক্ষেত্রটা তৈরি করেছিল জ্যোতি বসু নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট সরকার। 1981 খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ঘোষণা করেন কলকাতা, গার্ডেনরিচ, আসানসোল, ইসলামপুরে দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসেবে উর্দু ব্যবহার হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2012 খ্রিস্টাব্দে সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সারা রাজ্যের অতিরিক্ত সরকারি ভাষা হিসেবে উর্দুকে তুলে ধরেন। তবে উর্দুর পাশাপাশি আরো পাঁচটি ভাষা হিন্দি, সাঁওতালি, নেপালি ,ওড়িয়া ও গুরুমুখী (যদিও এটি কোন ভাষা নয় একটি লিপি) পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত সরকারি ভাষার (additional official language) স্বীকৃতি পায়। এরপর থেকে তাই বিভিন্ন সরকারি হোডিংয়ে উর্দুকে আমরা দেখতে পাই। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার রাস্তায় এমন অনেক হোডিং দেখা যায় যেখানে ইংরেজি আর উর্দু ভাষায় লেখা: বাংলার কোন স্থান নেই। বিভিন্ন সরকারি অফিস বা ভবনের নামের হোডিং এও বাংলা ইংরেজি আর হিন্দির সঙ্গে সহাবস্থান করতে দেখা যায় উর্দুকে। এমনকি বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের সরকারি বইতেও উর্দু শব্দের প্রকোপ বেড়ে যায়।
এখন পশ্চিম বাংলাতে উর্দুর এই প্রভাব বৃদ্ধির কথা বলতে গেলেই সেকুলার বুদ্ধিজীবীর দল হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের উদ্ভট যুক্তি খাড়া করে। তথ্য বলছে হিন্দি এবং ইংরেজি ভারতের সংবিধান অনুযায়ী দেশের official language। এই মুহূর্তে ভারতের 44 শতাংশ জনগণের মাতৃভাষা হিন্দি। পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে বলা যায় যে হিন্দি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর স্থান সংখ্যার বিচারে ঠিক বাংলার পরেই। আবার হিন্দি গান, ছবি সবকিছুই পশ্চিমবঙ্গতে বেশ জনপ্রিয়। বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের মধ্যেও হিন্দি বলতে বা লিখতে পারে এমন ব্যক্তির সংখ্যা অনেক। উর্দুর ক্ষেত্রে এইসব যুক্তির কোনটাই নেই
।ভারতের সবচেয়ে বেশি উর্দু ভাষাভাষী মানুষ থাকেন উত্তরপ্রদেশে। সেখানে কিন্তু সরকারি হোডিং এ উর্দুর এত দাপাদাপি নেই। তাছাড়া এটাও মনে রাখতে হবে যে হিন্দি ভাষার যে সার্বজনীনতা ভারতে আছে, সেটা উর্দু ভাষার মধ্যে নেই। সাধারণত মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষ উর্দু ভাষা বলে থাকেন ( যদিও এ কথা বলা যায় না ভারতের সকল মুসলিমের মাতৃভাষা উর্দু) । অন্যদিকে হিন্দি ভাষাভাষী মানুষেরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনের মাতৃভাষা আবার বাংলা। ইতিহাস বলছে বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরাই কিন্তু 1952 খ্রিষ্টাব্দে উর্দুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন।
এতসব সত্ত্বেও উর্দুকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জোর করে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করছে। ইদানিংকালে সবচেয়ে নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে 20 সেপ্টেম্বর 2018 খ্রিস্টাব্দে। ইসলামপুরের দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রয়োজন ছিল অংক, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এর, কিন্তু তার পরিবর্তে নিয়োগ করা হয় উর্দু শিক্ষককে। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয় এলাকা: পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তপন বর্মন ও রাজেশ সরকার নামে দুই ছাত্রের: আহত হন অনেকে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে বিদ্যালয়। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর মুখ বাঁচাতে সাসপেন্ড করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহ প্রধান শিক্ষককে। ভেঙে দেওয়া হয় পরিচালন সমিতি। দাড়িভিট এর এই ঘটনা যেন দ্বিতীয় ভাষা আন্দোলন! এটি পশ্চিমবঙ্গের ভাষা আন্দোলন যা আজ পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে প্রেরণা যোগাচ্ছে নতুন করে পাকিস্তানপন্থী উর্দু প্রেমীদের বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে।
পশ্চিমবঙ্গের সেক্যুলার বুদ্ধিজীবী কুলের বেশিরভাগই উর্দু জানেন না। তবুও তাদের উর্দু প্রেম মনে করিয়ে দেয় সেই বিখ্যাত উক্তি,’ মেরেছো কলসির কানা তাই বলে কি প্রেম দেব না? ‘ উর্দু সাম্রাজ্যবাদের অত্যাচার এবং তার বিরুদ্ধে বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর আন্দোলন দেখার পরেও এই উর্দু প্রেম, মাতৃ ভাষা বাংলার প্রতি বৈরাগ্য এবং হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের অযৌক্তিক কল্পনা হাস্যকর এবং বেদনাদায়ক। জঙ্গলে এক ধরনের পাখি দেখা যায় যারা কুমিরের দাঁত পরিষ্কার করে দেয়। পরিবর্তে কুমির ওই পাখিকে ভক্ষণ করে না। মনে হয় উর্দু প্রেমী বাঙালি বুদ্ধিজীবীর দল বর্তমানে কুমিরের দাঁত পরিষ্কার করা পাখির ভূমিকাতে অবতীর্ণ হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গতে যে এখন জঙ্গলের রাজত্ব চলছে সেটা অবোধ শিশুও জানে!