হিন্দু সম্প্রদায় এবং হিন্দু ধর্মকে উপহাস ও অপমান করার ঘটনা নতুন নয়। বারবার এদেশের মাটিতে আক্রান্ত হয়েছে হিন্দুরা। হিন্দুর ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানকে টার্গেট করা হয়েছে। এবারে আঁকার প্রতিযোগিতার আড়ালে হিন্দুদের সন্ত্ৰাসবাদী প্রমানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আঁকিয়েদের আড্ডা’ নামে একটি ফেসবুক গ্রূপ রয়েছে। সেই গ্রূপের সদস্য সংখ্যা দুই লাখের বেশি। কয়েকদিন আগে হঠাৎই গ্রূপের বেশ কয়েকজন অ্যাডমিন বিশেষ আঁকার প্রতিযোগিতা আয়োজন করার কথা ঘোষণা করেন। সেই প্রতিযোগিতার নাম দেওয়া হয় ”against Hindu Terrorism”। বলা হয় যে প্রতিযোগিতাটি অনলাইন ভিত্তিক এবং সেরা ছবিকে পুরস্কৃত করা হবে।
প্রতিযোগিতা আয়োজনের কারণ হিসেবে সংঘের হিন্দু সন্ত্রাসবাদ, ফ্যাসিস্ট মানসিকতা এবং মুসলিমদের টার্গেট করার কথা বলা হয়। এমনকি শিল্পীর দায়িত্বের দোহাই দেওয়া হয়েছে একাধিক পোস্টে।
একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, “ভারতে বর্তমানে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম হচ্ছে। এবং আমাদের গ্রূপ সংঘ পরিবারের ফ্যাসিবাদী আদর্শের বিরুদ্ধে। ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে সংখ্যালঘুকে খুন, ব্রাহ্মন্যবাদ ও পিতৃতন্ত্রের মাধ্যমে শোষণ, খুন, ধর্ষণ, ইতিহাসের গৈরিকীকরণ, নাগরিকের কণ্ঠরোধ, মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো, পুলিশি অত্যাচার। …এসবই সন্ত্রাসবাদ।”
আর এমন পোস্ট সামনে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই বলছেন যে আঁকার প্রতিযোগিতার আড়ালে হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে অপমান করার চেষ্টা চলছে। আঁকার নাম করলে হিন্দুদের সন্ত্ৰাসবাদী প্রমাণের চেষ্টা চলছে। অনেকে আবার পুলিশের কাছে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জনিয়েছেন।