সংখ্যালঘু হিন্দুর সেলুন দোকানে এসেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ ওরফে ডন (৫২)। এসেই ‘হুকুম’ দেন শেভ করে দিতে। এ সময় নরসুন্দর একজনের চুল কাটছিলেন। কিন্তু নেতা বলে কথা! ডন সিরিয়াল ভেঙে তার শেভ আগে করতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ডন চালান ‘ডনগিরি’। সেলুনের ভেতরেই জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন নরসুন্দর বাবুল চন্দ্র শীলকে। এক পর্যায়ে তার সহযোগীরা ভাঙচুর শুরু করে সেলুন। বাবাকে বাঁচাতে পাশের দায়ের দোকান থেকে ছুটে আসেন বাদল চন্দ্র শীল (১৯)। এরপর তাকেও মারধর করে ডন ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে তার দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে ৩৬ হাজার টাকা লুটে নেয় তারা।
মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেঙ্গুরী এলাকায় এতিম মার্কেটের ‘বাদল হেয়ার কাটিং’য়ে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার দুপুরে শহিদ ওরফে ডনকে প্রধান আসামি করে এ ঘটনায় আশুলিয়া থানা মামলা হয়েছে। শহিদ আশুলিয়ার টেঙ্গুরী কোনাপাড়া এলাকার মৃত জিয়র আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি শিমুলিয়া ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মামলায় একই এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফ (৩৫) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে হিমেলকেও (৩২) আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সেলুন মালিক বাবুল অন্য একজনের চুল কাটছিলেন। তখন তার চুল কাটা শেষ না করেই শহিদ তার দাড়ি শেভ করতে বলেন। বাবুল ১০ মিনিট দেরি হবে বলায় তার ওপর চড়াও হন শহিদ। এ সময় জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন তিনি। বাবুলের ছেলে বাবাকে মারতে দেখে প্রতিবাদ করলে শহিদ এবং তার সহযোগীরা তাকেও মারধর করে। বাদলের চা দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ক্যাশবাক্স থেকে ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বাবুল বলেন, শহিদ শিমুলিয়া ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। প্রাথমকিভাবে ঘটনাটি শুনেছি। তবে অভিযোগ পেলে বা ঘটনা বিশ্লেষণ করে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ঘটনার পর থেকেই গাঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরা। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে মারধর ও দোকানপাট ভাঙচুরের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(The above news is received and published through a syndicated feed)