অন্ধ্র প্রদেশ ওয়াকফ বোর্ডের জারি করা একটি ফতোয়া ঘিরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ কেন্দ্র সরকার। গতকাল ২১শে জুলাই, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের তরফে কড়া চিঠি দিয়ে অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে এমন ফতোয়া জারি করার অধিকার ওয়াকফ বোর্ডের রয়েছে কিনা।
উল্লেখ্য, এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্ধ্র প্রদেশের ওয়াকফ বোর্ড একটি ফতোয়া জারি করে। সেই ফতোয়ায় বলা হয় যে আহমদিয়ারা(Ahmadia community) মুসলমান নয়। আহমদিয়ারা কাফের। সেই ফতোয়ায় ‛জমিয়ত উল উলেমা’-এর দেওয়া ফতোয়ার কথাও উল্লেখ ছিল। সেই ফতোয়ার পর থেকেই অন্ধ্র প্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
ওয়াকফ বোর্ডের ওই ফতোয়ার প্রতিবাদে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের সঙ্গে দেখা করে ঘটনায় হস্তক্ষেপ দাবি করে। তারপরই সংখ্যালঘু মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি সিপিএস বক্সী চিঠি দেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্য সচিবকে। সেই চিঠিতে ওয়াকফ বোর্ডের জারি করা ফতোয়ার কড়া নিন্দা জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের চিঠিতে সাফ জানানো হয় যে এমন ফতোয়া জারি করে আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে ওয়াকফ বোর্ড। চিঠিতে বলা হয়েছে, “এমন ফতোয়া জারি করে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে ওয়াকফ বোর্ড। আহমদিয়ারা মুসলিম কিংবা মুসলিম নয়, তা স্থির করার অধিকার ওয়াকফ বোর্ডের নেই।”
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে ওয়াকফ বোর্ডের গঠন করা হয়েছিল ফতোয়া জারি করার জন্য নয়। ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্টের জন্য ওয়াকফ বোর্ডের গঠন করা হয়েছিল, সাফ জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় উপমহাদেশের একাধিক দেশে আহমদিয়া গোষ্ঠীর মুসলমানরা দীর্ঘ বছর ধরেই নির্যাতনের শিকার। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং ভারতে বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে আহমদিয়ারা। আহমদিয়ারা মুসলমান নয়, আহমদিয়ারা কাফের, এমন ফতোয়া জারি করা হয়েছে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনের তরফে। তারপরেও লড়াই করে টিকে রয়েছে আহমদিয়া জনগোষ্ঠী।