গেরুয়া পোশাক পরে সাধু সেজে এলাকায় ঘুরছিলেন ৬ মুসলিম যুবক। সন্দেহ হতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফাঁস হলো আসল রহস্য। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবকদের বেধড়ক পেটায় স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কী উদ্দেশ্যে ওই যুবকরা এমনটা করছিলেন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ঘটনা বিহারের নওয়াদা জেলার আকবরপুর থানার অন্তর্গত চাতার গ্রামের।
খবর অনুযায়ী, ওই যুবকরা সকলেই উত্তর প্রদেশের গোন্ডার বাসিন্দা। বেশ কয়েকদিন আগেই সাধুদের একটি দল ওই গ্রামে আসে। তাঁরা গ্রামের হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। সঙ্গে ছিল গরু। ‘গো’ সেবার মাধ্যমে আশীর্বাদ প্রাপ্ত করার নামে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন তাঁরা।
গত পরশু সন্দেহ হওয়ায় গ্রামের এক হিন্দু বাসিন্দা ওই সাধুদের হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। কিন্তু হিন্দু ধর্মের সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যার্থ হন তাঁরা। পরে তাদের আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পর্দা ফাঁস হয়। ওই যুবকরা জানায় যে তাঁরা সকলেই মুসলিম।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা তাদের মারধর শুরু করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আকবরপুর থানার পুলিশ। মারমুখী জনতার হাত থেকে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে জেরায় ওই যুবকরা জানায় যে তাঁরা সকলেই উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা এবং সাধু সেজে ওই এলাকায় এসেছিল। জেরায় ধৃতরা তাদের নাম ও পরিচয় জানায়।
পুলিশ জানিয়েছে যে ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হলো মহম্মদ কলিম, আমজাদ খান, নবাব আলী, সুভান আলী, আহেমদ মিঞা এবং রশিদ খান। ধৃতদের পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে উত্তর প্রদেশের গোন্ডা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিহার পুলিশ।