ছাত্রীরা হিজাব না পরে স্কুলে এসেছিল। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের চুল কেটে দিলেন এক শিক্ষিকা। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ জেলায়। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি, বুধবার এই ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার সৈয়দপুরের আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে। সেই বিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার।
ঘটনার দিন, সপ্তম শ্রেণীর জীব বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস নিতে আসেন তিনি। শ্রেণী কক্ষে ঢুকেই যে ছাত্রীরা হিজাব পরে আসেননি, তাদের উপরে চড়াও হন ওই শিক্ষিকা। হিজাব না পরে আসার জন্য ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই শিক্ষিকা, এমনটাই অভিযোগ। তারপর নিজের ব্যাগ থেকে কাঁচি বের করে ছাত্রীদের চুল কেটে দেন। অনেক ছাত্রী কেঁদে অনুনয় বিনয় করলেও থামেননি ওই শিক্ষিকা।
এর পরই ওই ছাত্রীরা বাড়ি চলে যায়। অভিভাবকরা জানতে পেরেই উপজেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। অভিভাবকদের ক্ষোভ সামাল দিতে প্রশাসনের তরফে আপাতত ওই শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেকেই বলে থাকেন যে হিজাব পছন্দের বিষয়, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের এই ঘটনায় যেভাবে কমবয়সী মেয়েদের চুল কেটে দেওয়া হলো, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই আতঙ্কে ওই ছাত্রীরা আর বিদ্যালয়ে যেতে চাইছে না বলেই খবর।
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশে ক্রমশ বাড়ছে কট্টরপন্থী মানসিকতা। আর তা প্রবেশ করেছে প্রশাসন থেকে শুরু করেছে স্কুল কলেজের সর্বত্র। ফলে বাংলাদেশ থেকে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি। আর সেই কট্টপন্থী মানসিকতার জন্য জোর করে হিজাব চাপিয়ে দেওয়ার জন্যই কমবয়সী মেয়েদের উপরে এমন নির্যাতন চালানো হয়েছে।