এবারে নির্বাচনের ময়দানে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। সংসদে নিপীড়িত ও অত্যাচারিত হিন্দুর পক্ষে আওয়াজ তুলতেই নির্বাচনে লড়ছেন তিনি, জানিয়েছেন শ্রী প্রামাণিক।
জানা গিয়েছে, খুলনা ১ দাকোপ বটিয়াঘাটা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির হয়ে নয়, তিনি লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আর তাঁর এই প্রার্থী হওয়ায় আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশের সাধারণ হিন্দু জনতা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন আগামী বছর হওয়ার কথা। শাসক দল আওয়ামী লীগ ১৯ জন হিন্দু প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। পিছিয়ে নেই বিরোধী দল বিএনপিও। সংখ্যায় কম হলেও বেশ কয়েকজন হিন্দু প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু তাতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন খুশি নন, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে হিন্দু সংখ্যালঘুর স্বার্থ রক্ষাকারী হিসেবে প্রচার করলেও বাস্তব তাঁর উল্টো। বরং আওয়ামী লীগের শাসনকালে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার তো কমেইনি, বরং বেড়েছে। সারা বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু মন্দিরে হামলা, হিন্দুর জমি দখল, হিন্দু মন্দিরের সম্পত্তি দখলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সরাসরি জড়িয়ে পড়া, ২০২১ সালে দুর্গা পূজায় দেশ জুড়ে হিন্দুদের উপরে হামলা, হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরকরণ ইত্যাদি ঘটনায় সাধারণ হিন্দু জনতা আতঙ্কে। আর সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় এই যে আওয়ামী লীগের টিকিটে জিতে আসা হিন্দু সাংসদরা একটিও শব্দ খরচ করেননি দীর্ঘ সময় ধরে চলা হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে। ফলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অবিশ্বাস ও আতঙ্কের চোরাস্রোত বইছে, বলছেন তাঁরা।
এমন সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য খুঁটি হিসেবে দ্রুত উঠে এসেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছে যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিপীড়িত হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছে হিন্দু মহাজোটের নেতা-কর্মীরা। আর শক্তহাতে নেতৃত্ব দিয়ে সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
শুধু তাই নয়, বিগত দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণে বারবার একাধিক দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন পেশায় আইনজীবী শ্রী প্রামাণিক। সংখ্যালঘু হিন্দুর কল্যাণে আলাদা সংখ্যালঘু মন্ত্রক, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করার দাবি তিনিই প্রথম করেছিলেন। হিন্দুদের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা, জাতীয় সংসদে হিন্দুদের জন্য আসন সংরক্ষণের মত দাবিও তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনে এইসব দাবির কোনোটাই পূরণ হয়নি। ফলে সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে আওয়াজ তুলবেন শ্রী প্রামাণিক, আশা করছেন বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ।