হিন্দুদের গরুর মাংস খেতে বাধ্য করলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান



Updated: 02 January, 2024 6:35 am IST
Cricketer Shakib Al Hasan contesting election from Magura-1(Credits: Dhaka Tribune)
Cricketer Shakib Al Hasan contesting election from Magura-1(Credits: Dhaka Tribune)

নিজের চরম হিন্দু বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান(Shakib Al Hasan)। ভোটের প্রচার চলাকালীন আয়োজিত ‘দাওয়াত’-এ ইচ্ছাকৃতভাবে গরুর মাংস খাইয়ে দিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে মাগুরা শহরে শাকিব আল হাসানের নিজের বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে। উপস্থিত হিন্দুরা প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে খাওয়া ছেড়ে বেরিয়ে যান হিন্দুরা।

উল্লেখ্য, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন শাকিব। কয়েকদিন আগে নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মাগুরা সদর অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ ভোজের আয়োজন করেন শাকিব। সেই ভোজনে আমন্ত্রিত ছিলেন ৪০০ নেতা-কর্মী। ওই ভোজনে মূলত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে হিন্দুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।

https://youtu.be/GJfE5R1KaoY?si=MpdIhISK2EWlFii4

অভিযোগ, খেতে বসে যাওয়ার কিছুক্ষন পরে খাসির মাংস বলে হিন্দুদের পাতে গরুর মাংস পরিবেশন করা হয়। কিছুক্ষন পরে কয়েকজন বুঝতে পারেন যে তাদের গরুর মাংস খেতে দেওয়া হয়েছে। তখন অনেকেই বমি করতে শুরু করেন। অনেকে খাওয়া ছেড়ে উঠে চলে যান। সেসময় শাকিব আল হাসান ও তাঁর পিতা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বিষয়টিকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় উপস্থিত আওয়ামী লীগের অন্যান্য কর্মীরা হিন্দুদের হুমকি দেন যাতে বিষয়টি বাইরে না প্রকাশ করা হয়। এমনকি উপস্থিত থাকা স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক বিষয়টি জানা সত্বেও চেপে যান।

পরে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু হিন্দু নেতা ও সমর্থক বিষয়টি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী লোকজনকে জানান। মাগুরার পরিচিত হিন্দুত্ববাদী নেতা তথা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনিমেষ কর বলেন, ” ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে। যাতে হিন্দুরা একথা কাউকে না বলেন, সে জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অনেক আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতা-কর্মী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরটি হিন্দু অধ্যুষিত। ওই শহরের অনেকগুলি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিন্দু। ফলে নিজের বাড়িতে আয়োজিত ভোজে হিন্দুদের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে আলাদা ব্যবস্থা রাখেননি। ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের গরুর মাংস খাইয়েছেন তিনি, অভিযোগ অনেকের। আর এর প্রভাব আসন্ন ভোটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।