বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে নির্যাতন অব্যাহত। এবারে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ঘটনা শরীয়তপুর জেলার।
কয়েকদিন আগে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় রক্ষিত ফেসবুক ওয়ালে লালন ফকির সম্বন্ধে লেখা একটি বাউল গানের দুটি লাইন শেয়ার করেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “সুন্নতে খাতনা দিলে যদি হয় মুসলমান, তাহলে নারী জাতির কি হয় বিধান”।
সেই ফেসবুক পোস্ট দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মান্ধ ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠী। অনেকেই সেই ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ওই হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। অনেকেই নানারকম উস্কানিমূলক পোস্ট করতে থাকেন।
এরপর গত ২৮শে এপ্রিল, একদল উন্মত্ত মুসলিম জনতা ওই হিন্দু যুবকের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং ওই হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে ধৃতকে আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, সঞ্জয় রক্ষিত যে গানের দুটি লাইন শেয়ার করেছিলেন, তা বাউল শিল্পী কার্তিক দাস বাউলের লেখা।
তবে এই ঘটনার পর সঞ্জয়ের সমর্থনে ফেসবুকে লেখালিখি শুরু করেন মুক্তমনা বাংলাদেশি মুসলমানরা। অনেকেই ওই গানের লাইন দুটি শেয়ার করেন।
ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মিন্টু মন্ডল বলেন, “অভিযোগ পেয়েই ওই যুবককে আমরা গ্রেপ্তার করি। পরে আদালত ওই যুবককে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পাশাপাশি এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি যাতে বজায় থাকে, সে জন্য বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ”