ইসলামিক সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে শান্তিতে নেই সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষজন। প্রায় রোজই হিন্দু মন্দিরে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে চলেছে। এবার রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি দুর্গা মন্দিরে হামলা চালালো এক মুসলিম যুবক। সজাগ থাকা স্থানীয়রা ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গতকাল রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত নিয়ামতপুর গ্রামে একটি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির রয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ আচমকাই ওই মন্দিরে ঢুকে পড়ে লুঙ্গি পরা এক যুবক। মন্দিরের ভিতরে থাকা একের পর এক প্রতিমা ভেঙে ফেলতে থাকে সে। কয়েকটি প্রতিমার মাথা কেটে ফেলে সে। আশেপাশে থাকা লোকজন দৌড়ে এসে ওই যুবককে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হতে তুলে দেওয়া হয়।
ঘটনা ঘিরে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন যে ওই যুবক আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দা হতে পারে। কী কারণে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালালো, তা বলতে পারছেন না কেউ। এদিকে যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয়রা বলছেন যে প্রতিমা ভাঙ্গার সময় ‘আল্লাহু আকবর‘ স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে তাকে। তাই অনুমান করা হচ্ছে যে সে ধর্মে মুসলিম এবং হিন্দুদের প্রতি ঘৃনা থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।