বাংলাদেশ: হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের হামলা, আহত ৫



Updated: 14 October, 2023 9:05 am IST

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে ইসলামিক মৌলবাদীদের অত্যাচারের ঘটনা অজানা নয়। মুখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার সুনিশ্চিত করার কথা বললেও সংখ্যালঘু নির্যাতনে আওয়ামী লীগও পিছিয়ে নেই। গতকাল কুমিল্লার ঘটনাই তার প্রমাণ।

বিভিন্ন স্থানে হিন্দু নির্যাতন, প্রতিমা ভাঙচুর এবং হিন্দু সাংসদ মৃনাল দাসকে ‘মালাউন’ বলে কটূক্তি করার প্রতিবাদে কুমিল্লা শহরে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিলো বাংলাদেশের বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মিলিত সংগঠন ‘হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’। আর সেই মিছিলে হামলা চালালো আওয়ামী লীগের দুটি শাখা সংগঠনের ক্যাডার বাহিনী। সেই হামলায় মোট ৫ জন আহত হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গতকাল ১৩ই অক্টোবর, শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ কুমিল্লা শহরের নজরুল এভেনিউ থেকে মিছিল বের হয়। তারপরই মিছিলে লাঠি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের দুটি শাখা সংগঠন ছাত্র লীগ ও যুব লীগের ক্যাডার বাহিনী। মিছিলে থাকা হিন্দু মানুষজনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। এই আক্রমণের ফলে মুহূর্তের মধ্যে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। অনেকেই এদিক ওদিকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পালাতে থাকা হিন্দুদের পিছু ধাওয়া করে মারধর করার খবর পাওয়া গিয়েছে।

খবর অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীর চালানো এই হামলায় মোট পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন পেশায় স্কুলের শিক্ষক আদিত্য দাস, সুনীল দাস, তন্ময় দাস ও আরও কয়েকজন।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-এর সাধারণ সম্পাদক তপন বক্সী বলেন, “আমরা মিছিল নিয়ে কর ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাদের মিছিল থামাতে বলে, কারণ সামনে আর একটি মিছিল আসছিলো। সেই মতো আমরা ফিরে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তখনই পিছন থেকে আমাদের মিছিলে হামলা চালানো হয়।”

তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে অনেকেই এই হামলার জন্য কুমিল্লা সদরের এমপি বাহাউদ্দিন বাহারকে দায়ী করেছেন। কারণ মিছিল ঘিরে আগেই হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।