ফের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে ইসলামিক মৌলবাদীদের হামলার ঘটনা ঘটলো। কয়েকশো মৌলবাদী ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি বেশ কিছু হিন্দু বাসিন্দাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে বলে অভিযোগ। আজ সকাল ১১টা নাগাদ বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত গোড়তা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দাদের অভিযোগ, আজ সকালে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করে প্রায় ৬০০-৭০০ ইসলামিক মৌলবাদী জড়ো হয়। তাঁরা সকলেই পাশের আম্বাইল, বলেনদা এবং গোড়তা গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ, ইসলামিক মৌলবাদীরা গ্রামে ঢুকেই হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালাতে থাকে। বাদ যায়নি গ্রামের হিন্দু মহিলারাও। লাঠি, বাঁশ ও রড দিয়ে হিন্দু মহিলাদের বেধড়ক পেটানো হয়। বেশ কয়েকজনের শরীরের বিভিন্ন অংশে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে মৌলবাদীরা। সুজন সরকার এবং উজ্জ্বল সরকার নামে দুই হিন্দু যুবককে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয়। অতিরিক্ত মারধরে ওই দুই যুবক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাদের ফেলে পালিয়ে যায় মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা। গজেন সরকার নামে হিন্দু ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয়। তাঁর বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই আহতদের চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে এলাকার হিন্দুরা আতঙ্কে রয়েছেন। সেই সঙ্গে নিরাপত্তায় পুলিশবাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন।