আসাম: মাদ্রাসার ভিতরে ছাত্রকে গলা কেটে খুন, গ্রেপ্তার মাদ্রাসার হাফিজ মুশকিন রহমান খান



Updated: 14 August, 2023 8:55 am IST

মাদ্রাসার ছাত্রের গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করলো কাছাড় পুলিশ। ধৃত শিক্ষকের নাম হাফিজ মুশকিন রহমান খান।

উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার সকালে ধলাই থানার অন্তর্গত দারুস সালাম হাফিজিয়া এবং আলিয়া মাদ্রাসার ভিতরে ১২ বছর বয়সী রোজিমুল হুসেন লস্করের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরে ঘটনার কাছাড়ের পুলিশ সুপার নুমল মাহাত্বের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শুরুর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করে ফেললো পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রোজিমুল কিছুদিন আগে কাউকে কিছু না বলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে সে মাদ্রাসায় ফিরলে তাকে বেধড়ক মারধর করে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ মুশকিন রহমান খান। সে কথা নিজের বাড়ির লোককে জানায় রোজিমুল। তখন রোজিমুলের বাড়ির লোক মাদ্রাসার প্রধান মাওলানাকে জানায়। মাওলানা তখন বিষয়টি নেওয়ার উদ্দেশ্যে মারধরে অভিযুক্ত শিক্ষক মুশকিন রহমান খানকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলেন। সে সময়ে লিখিতভাবে ক্ষমা চান অভিযুক্ত হাফেজ।

কিন্তু ঘটনা এখানেই মিটে যায়নি। ক্ষমা চাইতে বলায় ওই ছাত্রের উপরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ওই হাফিজ। গতকাল রবিবার রাতে সব ছাত্ররা যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন ধারালো অস্ত্র নিয়ে রোজিমুল হুসেন লস্করের গলা কেটে খুন করেন শিক্ষক হাফিজ মুশকিন রহমান খান। তারপর সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।

ঐদিন ভোরে মাদ্রাসার এক ছাত্র ফজরের নামাজের জন্য যখন ছাত্রদের ঘরে ঘরে ডাকতে গিয়েছিলো, তখন বিছানায় ওই ছাত্রের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনার খবর পুরো এলকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ মুশকিন রহমান খানকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।