মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘোষণার পরই মাঠে নেমে পড়েছে আসাম পুলিশ। খুঁজে খুঁজে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করার পাশাপাশি পকসো (POCSO) ধারায় মামলা দায়ের করছে পুলিশ। আর এক্ষেত্রে গ্রেপ্তার হওয়া বেশিরভাগ যুবকরা মুসলিম হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্যের মুসলিমদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ক্যাবিনেট বৈঠকের পর দেওয়া ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন যে মেয়েদের বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স হলো ২২-৩০ বছর। কিন্তু তারপরেও বহু যুবক ১৪ বছর কিংবা তার চেয়ে কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করছে। আর তাদের খুঁজে খুঁজে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি। আর তারপরই কাজে নেমে পড়েছে পুলিশ।
খবর অনুযায়ী, গত শুক্রবার আসাম পুলিশ গ্রেপ্তার করে বরপেটার এক মুসলিম যুবক, তাঁর পরিবারের দুই সদস্য এবং এক ইমামকে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘোষণার পরই এটাই প্রথম গ্রেপ্তার। পুলিশ জানিয়েছে যে ওই গ্রামের এক মুসলিম যুবক ১৪ বছর বয়সী এক মুসলিম নাবালিকাকে বিয়ে করছিলেন। স্থানীয় এক ইমামের মধ্যস্থতায় সেই বিয়ে চলছিল। তাই ওই ইমামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ‘The Child Marriage Act, 2006’- এর ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এছাড়াও আসামের অন্যান্য জেলা থেকেও এমন খবর এসেছে যেখানে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করার দায়ে মুসলিম যুবকদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগামীদিনে এই গ্রেপ্তারের সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পরে বলে খবর। তবে বেশ কয়েকজন হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করার খবর এসেছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী আসামে সন্তান জন্ম দেওয়া মায়েদের মধ্যে ৩১%- এর বিয়ে হয় ১৮ বছরের কম বয়সে। আর এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পর জাতীয় স্তরে মুখ পুড়েছে আসাম সরকারের। আর তাই বাল্য বিবাহ বন্ধে উঠেপড়ে লেগেছে আসাম সরকার।
Image Credits: Times of India