বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী(Nawajuddin Siddiqui)-র বিরুদ্ধে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ করলেন স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী। তাঁর অভিযোগ, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও তাঁর ভাইয়েরা মিলে লাগাতার শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সেই নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন আলিয়া সিদ্দিকী।
উল্লেখ্য, আলিয়া সিদ্দিকী আদতে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর পূর্বে নাম ছিল অঞ্জনা কিশোর পান্ডে। পরিবারের অমতে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন অঞ্জনা কিশোর পান্ডে এবং বিয়ের পরে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন এবং তাঁর নতুন নাম হয় আলিয়া সিদ্দিকী।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আলিয়া সিদ্দিকী লিখেছেন যে তাঁর স্বামীর বাড়িতে গত সাত দিন ধরে তাকে চূড়ান্ত নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। বাড়ির ঘরে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না তাকে। বাধ্য হয়ে হল ঘরে কাটাতে হচ্ছে তাকে। এমনকি তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে হলঘরে থাকা সোফায় শুয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। তাঁর শশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন আলিয়া। এমনকি আইনের দ্বারস্থ হতে চাইলেও তাঁর আইনজীবীকে বাড়িতে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ আলিয়ার। আর এসবই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর মদতে হচ্ছে বলে অভিযোগ আলিয়ার।
আলিয়ার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকীর অভিযোগ, ‛আলিয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও তাঁর পরিবার। এমনকি খেতে এবং স্নান করতে দেওয়া হচ্ছে না। এক প্রকার বন্দি করে রাখা হয়েছে। এমনকি আদালতে মামলা দায়ের করতে চেয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধা দিচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীরা। পুলিশকে জানিয়েও কোনও সহযোগিতা পাইনি’।
প্রসঙ্গত, আলিয়ার উপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়। অতীতে আলিয়া সিদ্দিকীকে একাধিকবার মারধর করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুম্বইয়ের ভারশোভা থানায় আলিয়া সিদ্দিকী শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন। আলিয়া তাঁর স্বামী নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এবং তাঁর ভাই মিনহাজুদ্দিন, ফৈজুদ্দিন, আয়াজুদ্দিন এবং তাদের মা মেহেরুন্নিসার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন। আলিয়া তাঁর দায়ের করা FIR-এ অভিযোগ করেছিলেন যে নওয়াজউদ্দিনের ভাইয়েরা তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে লাগাতার ব্ল্যাকমেল করতেন। তারপর থেকেই নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় আলিয়া ওরফে অঞ্জনা কিশোর পান্ডের উপরে।