কেরালার ৮টি ঘটনা, যা প্রমাণ করে দলিত-মুসলিম ঐক্য এক অলীক স্বপ্ন



Updated: 14 June, 2023 8:43 am IST

✍️ অয়ন

তথাকথিত লেফ্ট-লিবারেল ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিবিদরা যতই ‘দলিত-মুসলিম’ নামক একটি কাল্পনিক ঐক্যের জয়গান গান না কেন, আসল বাস্তব কিন্তু অনেকটাই নির্মম। তাঁরা চেষ্টা করছেন যাতে দলিতরা হিন্দু শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং হিন্দুদের দুর্বল করা সহজতর হয়। যার ফলে সংখ্যাগুরু হয়েও হিন্দুরা আব্রাহামিক ধর্মের সাথে এঁটে উঠতে না পারে। এই কাজে সর্বাগ্রে আছে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া। এরা বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ন্যারেটিভ ছড়িয়ে, সংখ্যাতত্ত্বের নামে জাগ্লারি করে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরী করতে চায় যেন হিন্দু হচ্ছে দলিতদের সবচেয়ে বড় শত্রু। এবং মুসলিমরা হচ্ছে তাদের ‘স্বাভাবিক মিত্র।’ কিন্তু বহুবার, বিভিন্ন ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে যে, দলিত ও মুসলিমরা আদৌ স্বাভাবিক মিত্র নয় — চরম শত্রু। ঠিক যেমন ভাবে মুসলিমরা কোনওদিন অন্য কোনও ধর্মাবলম্বীর কাছে মিত্র হতে পারে নি।

ইস্লামিস্টরা বহুদিন ধরে পুরো দেশ জুড়েই দলিতদের বিরুদ্ধে অনেকগুলি অপরাধ করে গেছে। শুধু কেরালাতেই দলিতদের বিরুদ্ধে ইস্লামিস্টরা যত অপরাধ করেছে, তার অর্ধেক বাকি দেশে করেনি। ২০২০ সালের পর থেকে অন্তত ৯ গুরুতর অপরাধের উল্লেখ করতে পারি, যা থেকে বোঝা সম্ভব এরা দলিতদের প্রতি ঠিক কতখানি ঘৃণার মনোভাব পোষণ করে — ঠিক উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে যেমনটা করে থাকে। এর মধ্যে একটা ঘটেছে একেবারে সাম্প্রতিক কালে — ১৪ মে ২০২৩ সালে।

১. কেরালার মাল্লাপুরমে বিহার থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিককে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়

রবিবার ১৪ মে দুপুরে কেরালার পুলিস অন্তত ৮ জনকে গ্রেফতার করে, এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এরা কিলিশেরি অঞ্চলে একজন বিহারি পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মেরেছে চুরির অভিযোগ দিয়ে। হতভাগ্য বিহারি শ্রমিক জাতিতে ছিল আদিবাসী, ৩৬ বছর বয়সী হতভাগ্যের নাম ছিল রাজেশ মাঝি। তিনি বিহারের চম্পারণ জেলার মানস ছিলেন। শনিবার রাতে তিনি অভিযুক্তদের হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন চুরির ‘অভিযোগে’।

মাল্লাপুরমের কোন্ডুট্টি থানায় সেই রাতেই খুনের মামলা জারি হয়। মাঝিকে রাত একটা নাগাদ কিলিশেরি-থাভানুর রাস্তায় ৮ অভিযুক্ত ধরে চুরির অভিযোগ দিয়ে মারধর শুরু করে। পুলিস রাত ৩.২৫ নাগাদ নরহত্যার কথা জানতে পারে।

যখন পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা দেখতে পায় রাজেশ মাঝি গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। কিন্তু লাভ হয় নি। কালিকট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পোস্টমর্টেম করা হলে স্পষ্ট হয়ে যায় — তার মৃত্যুর জন্য গণধোলাইয়ের ঘটনা দায়ী, যে কারণে তার সর্বাঙ্গে গুরুতর চোট রয়েছে।

পুলিস এই ঘটনার জন্য দায়ী ৮ জনকে গ্রেফতার করে। যাদের মধ্যে ফাজ়িল শাফুদ্দিন, মহম্মদ আফজ়ল, মেহবুব আহমেদ সামাদ, হাবিব ছিল প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। পুলিস রবিবার দুপুরের মধ্যে ৮ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, যাদের সবাই ছিল মুসলিম। পুলিস জানায় আদিবাসী যুবককে বিশেষ পরিকল্পনা মাফিক হত্যা করা হয়েছে, চুরির অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা।

২. পার্টির ফ্লেক্সবোর্ড ছিঁড়ে দেওয়ার ভুয়ো অভিযোগ তুলে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) ক্যাডাররা জিষ্ণু রাজকে আক্রমণ করে

জুন ২০২২ সালে জনৈক জিষ্ণু রাজ নামক দলিত যুবককে পিএফআই, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ(IUML) ও পিএফআই(PFI)-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই ক্যাডাররা মিলে অতি নৃশংস ভাবে মারধর করে। পরে অভিযুক্তরা দাবি করে তারা নাকি সেদিন ভোরে স্বচক্ষে জিষ্ণুকে তাদের পার্টির ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলতে দেখেছে।

যদিও পরে দলিত-মুসলিম ঐক্য বিপন্ন হচ্ছে দেখে অভিযুক্তরা সব অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু বামপন্থি ছাত্র সংগঠন ডিওয়াইএফআই প্রধান ভ. ভাসীফ বলেন, তিনি পুরো ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন। এবং ঘটনা ছিল ‘অস্বাভাবিক রকমের নিষ্ঠুরতায় ভরতি।’ ভাসীফের সাক্ষ্যের জোরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় — মহম্মদ সালিহ, মহম্মদ ইজাজ়, নাজারিফ, রিয়াজ়, হ্যারিস। প্রত্যেকেই ছিল কালিকটের থিরুভোড়ে অঞ্চলের বাসিন্দা।

যদিও পুলিস সন্দেহ করেছিল এই ঘটনার পেছনে বড় চক্রান্ত আছে, তাঁরা আরও জোরদার তল্লাশি শুরু করে। এবং ২৯ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গুরুতর অভিযোগ আনা হয় — ৩০৮ (পরিকল্পনা মাফিক হত্যার প্রচেষ্টা), ৩২৪ (গুরুতর নিষিদ্ধ অস্ত্রাদি ব্যবহার), ১৪৩ (দাঙ্গার উদ্দেশ্যে অবৈধ জমায়েত), ১৪৮ (অস্ত্রাদি নিয়ে দাঙ্গা বাঁধান), এবং এসসি/এসটি প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিজ় ইত্যাদি ধারা প্রয়োগ করা হয়।

৩. স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বা এসএফআই সদস্য অভিমন্যু স্টুডেন্ট অফ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ক্যাডারদের হাতে ক্যাম্পাসের মধ্যে গুপ্তহত্যার শিকার হন

৫ জুলাই ২০১৮ সালে এসএফআই ক্যাডার অভিমন্যু এরনাকুলামের মহারাজা কলেজের ক্যাম্পাসের মধ্যেই এসডিপিআই ক্যাডারদের হাতে ছুরিকাহত হয়ে মারা যান।

তৎকালীন কেরালার ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিস লোকনাথ বেহরা দাবি করেন হত্যাকারীরা কেউই কলেজের ছাত্র ছিল না। আর অভিমন্যু তাদের দ্বারা ঐ কলেজের প্রথম শিকার ছিল না। তারা অতীতেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

এরপরেই কেরালা পুলিস যথারীতি পুরো কালিকট জুড়ে এসডিপিআই, পিএফআই এর অফিসে ও ক্যাডারদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং অনেক আপত্তিকর, নিষিদ্ধ বই উদ্ধার করে। সে সময়েই পুলিস ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

৫. দলিত ছাত্রীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড : অভিযুক্ত আমীর উল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে

ডিসেম্বর ২০১৭ সালে একজন কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেরালার এরনাকুলাম জেলা আদালত আসাম থেকে আসা অভিযুক্ত আমীর উল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। তিনি ২৯ বছর বয়সী দলিত ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।

রায় শোনানোর সময়ে বিচারক সাফ সাফ বলেন, “এমন নৃশংস ঘটনা ঘটানোর জন্য আমীর উল ইসলাম সব রকম দয়া পাবার অধিকার হারিয়েছে। ইহা অবশ্যই ‘বিরল’ থেকে বিরলতম নৃশংস ঘটনা। আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি অভিযুক্তের মধ্যে কোনও রকম অনুশোচনার ভাব দেখি নি। তার আচরণে মনে হয়েছে এগুলো তার জন্য স্বাভাবিক বিষয়। সমাজের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক এই ব্যক্তিকে তাই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান হল।”

আমীর উল ইসলামকে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও দিতে বলা হয়। রায় শোনার পর তার মধ্যে কোনও রকম ভাবান্তর দেখা যায় নি, যা থেকে তাঁর সাইকোপ্যাথ টাইপের মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আসামের নওগাঁ জেলার বাসিন্দা আমীর উল ইসলাম রাজমিস্ত্রি হিসাবে কেরালায় কর্মজীবন শুরু করে ২০১০ থেকে। নিহত ছাত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরত্বে ছিল তার বাড়ি।

এপ্রিল ২০১৭ সালে মামলা শুরু হয় ও ৮ মাসের মধ্যেই মামলা মিটে যায়। ১০০ প্রত্যক্ষদর্শী এসে সাক্ষ্য দেন। আমীরের বিরুদ্ধে পুলিস ২৯১ পাতার চার্জশিট গঠন করেছিল। ডিএনএ টেস্টে দেখা গিয়েছিল ছাত্রীর দেহে প্রাপ্ত নমুনার সাথে আমীরের ডিএনএ মিলে গেছে।

৬. এসএফআই এর ৭ ক্যাডার গ্রেফতার হন তফসিলি জাতিভুক্ত একজন ক্যাডারের ওপর হামলার কারণে, যিনি এআইএসএফ ছাত্র সংগঠনের সদস্য ছিলেন

২২ অক্টোবর ২০২১ সালে কেরালা পুলিস ৭ এসএফআই ক্যাডারকে গ্রেফতার করে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশন বা এআইএসএফ ক্যাডার একজন মহিলাকে মারধর করার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দেবার জন্য, যিনি জাতে দলিত ছিলেন। এই ঘটনা ঘটেছিল মহাত্মা গান্ধী ইউনিভার্সিটি সেনেটে আয়োজিত একটি সম্মেলনে।

মজার কথা হচ্ছে এআইএসএফ ও এসএফআই দুটোই লেফ্‌ট ফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত দুই বামপন্থি দলের ছাত্র সংগঠন। এআইএসএফ হচ্ছে সিপিআই -এর ছাত্র সংগঠন, যার ক্যাডার ঐ দলিত মহিলা কেরালা পুলিসের কাছে অভিযোগ জানান; তিনি এসএফআই ক্যাডারদের কাছে মৌখিক ভাবে জাতিবিদ্বেষ সূচক গালাগালি খেয়েছেন। সাথে মারধরও করেছে ও হত্যার হুমকিও দিয়েছে। কেরালা পুলিস এসসি/এসটি প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিজ় ধারায় মামলা করে। এছাড়া ১৪৩ ও ৩২৩ ধারাও লাগানো হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে, পরে গ্রেফতারও করা হয়।

৭. সিপিএমের সাথে যুক্ত ইস্লামিস্টরা একটি হিন্দু দলিত পরিবারকে আক্রমণ করেছিল দীপাবলি উপলক্ষে আতসবাজি ফাটাবার জন্য

পালাক্কাড জেলায় একটি দলিত পরিবারকে মারধর করা হয়েছিল দীপাবলির দিন আতসবাজি ফাটাবার ‘অপরাধে’। ঐ ঘটনায় গুরুতর আহত মণিকন্দন ও তার মা অঞ্জুমূর্তি বড়াকাঞ্চেরি থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু পীড়িতরা পরে মিডিয়ার কাছে অভিযোগ জানান, তারা অদ্যাবধি কোনও সুরাহা পান নি, কেননা অভিযুক্তরা শাসক দলের সাথে যুক্ত।

২৩ অক্টোবর ২০২২ সালে দীপাবলির দিন আতসবাজি ফাটাবার সময়ে মণিকন্দনের প্রতিবেশী রহমতউল্লাহ ও তার পুত্র এসে জানতে চান, কেন তারা আতসবাজি ফাটাচ্ছেন। মণিকন্দনের জবাবে সন্তুষ্ট হন নি পিতাপুত্র, এরপরেই তারা পালা করে প্রথমে মণিকন্দন ও পরে অঞ্জুমূর্তিকে বুকে, পিঠে লাথি মারতে থাকে। এরপরেই অঞ্জুমূর্তি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন কিছুদিনের জন্য।

মিডিয়ার কাছে মণিকন্দন জানান, পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিস তখনও পর্যন্ত রহমতউল্লাহ ও তার পুত্রকে গ্রেফতার করে নি। এরপর মণিকন্দন মুখ্যমন্ত্রী পিনারৈ বিজয়নের কাছে অভিযোগ জানান। বিজয়ন গ্রেফতারের আদেশ দিলে পুলিস তা করতে বাধ্য হয়। কিন্তু পুলিস অদ্যাবধি এসসি/এসটি প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিজ় ধারা প্রয়োগ করে নি বলে মণিকন্দন অভিযোগ জানান।

৮. সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন দলিতদের জল সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল একদল মুসলিমরা

জানুয়ারি ২০২০ সালের ঘটনা। কেরালার মাল্লাপুরমের কুট্টিপুরম কলোনির কাছে একদল দলিত অভিযোগ করে যে, তারা যেহেতু সিএএ আইনকে সমর্থন করেছে তাই মুসলিম প্রতিবেশীরা তাদের নির্যাতনের ভয় দেখানোর পাশাপাশি জল সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে। ঐ মুসলিম প্রতিবেশীরা পিএফআই সমর্থক বলেও অভিযোগ জানানো হয়।

এরপর সেবা ভারতী নামে একটি হিন্দু সংগঠন দলিত কলোনিকে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেয়। মুসলিমদের তরফে এমন একটি অবিচারের ঘটনায় কেরালা জুড়ে দলিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয় এবং কেরালা বিধানসভার সামনে এবিষয়ে ন্যায় বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু হলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় কেরালা পুলিস।

৯. আত্তাপাদি মধু হত্যাকাণ্ড : ১৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৪ জন দণ্ডিত হয়েছেন

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে পালাক্কাদ জেলার আত্তাপাদি অঞ্চলের চিন্দাক্কি গ্রামে মধু নামে একটি আদিবাসী যুবককে স্থানীয় একটি মুদির দোকান থেকে চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলা হয়। যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের সবাই ছিল শাসক দলের ক্যাডার।

এরপর পুলিস বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পেয়ে ১৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। কার বছর বাদে এদের মধ্যে ১৪ জন্য দণ্ডিত হয় স্থানীয় মান্নারক্কাদ স্পেশাল কোর্ট থেকে। এদের বিরুদ্ধে এসসি/এসটি প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিজ় ধারায় মামলা ছাড়াও ৩০৪ (২) [পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক হত্যা] ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা হলেন — হুসেইন মারাইক্কার, শামসুদ্দিন, আনীশ, রাধাকৃষ্ণণ, আবু বক্কর, সিদ্দিক়ি, উবাইদ, নাজীব, জাইজুমন, আবদুল করিম, সজীব, সতীশ, হরিশ, বিজু ও মুনীর। এদের মধ্যে কেবল আবদুল করিম ও আনীশ বেকসুর খালাস পেয়ে যায়।