India

আসাম: হিন্দু মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছিল আনোয়ার আলী, এনকাউন্টারের পর গ্রেপ্তার করলো পুলিশ

হিন্দু মন্দিরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনোয়ার আলীকে ত্রিপুরা থেকে গ্রেপ্তার করলো রাতাবাড়ি থানার পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই রাস্যাবাড়ি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তাকে নিয়ে অভিযান চালানোর সময় পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ। আনোয়ার আলীর পায়ে গুলি লাগে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, গত ৭ই নভেম্বর করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি থানার অন্তর্গত শতাব্দী প্রাচীন শিব মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই আগুনে প্রাচীন মন্দিরের প্রায় বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। এতে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ ছিল, মন্দিরের জমিতে কিছু মুসলিম ব্যক্তি ঘরবাড়ি বসবাস করছিলো। তাদের জায়গা থেকে উঠে যেতে বলতেই সমস্যার সূত্রপাত। তারপরই হঠাৎ একদিন রাতে মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জন মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত আনোয়ার আলী পলাতক ছিল।

সূত্রের খবর, মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পরই সে ত্রিপুরা পালিয়ে গিয়েছিলো। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও ব্যর্থ হয় পুলিশ। গত শনিবার, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ত্রিপুরায় অভিযান চালায় পুলিশ। গভীর রাতে ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছের একটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই রাতেই তাকে আসামে নিয়ে আসা হয়। রবিবার সকালে অভিযুক্ত আনোয়ার আলীকে নিয়ে বিশেষ অভিযানে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে সে। তখন তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। একটি গুলি তাঁর পায়ে লাগে। বর্তমানে সে রামকৃষ্ণনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Sorry! Content is protected !!