Opinion

ভারতের বামপন্থীদের সংজ্ঞা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

 © শ্রী স্বরূপ কুমার ধবল

সংজ্ঞার মধ্যে নিহিত থাকে বৈশিষ্ট্য, আবার বৈশিষ্ট্যের সম্মিলিত রূপই হচ্ছে সংজ্ঞা- ১৯২০ সালের ১৭ই অক্টোবর থেকে ভারতীয় বামপন্থীদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে যা দাঁড়ায়:
স্বদেশ- স্বজাতি- স্বসংস্কৃতি বিরোধী এক শ্রেণির অতি দেশদ্রোহী জীব। মুখোশধারী, ময়ূরপুচ্ছধারি দাঁড়কাকের দল। নিজেদের পাণ্ডিত্যের অহমিকায় আচ্ছন্ন এক শ্রেণির আহাম্মক। হীনমন্যতায়ভোগা এক শ্রেণির মানসিক রোগী। মদ, গাঁজাতে আসক্ত এবং নারীসঙ্গবিলাসী। খিস্তিবাজ ও লাম্পট্যের বহিঃপ্রকাশে এদের সমকক্ষ ভারতীয় কোন রাজনৈতিক দল উদাহরণ হিসেবে পাওয়া দুষ্কর। ভণ্ড, ভেকধারী এক স্বার্থবাজের দল। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত আপন সেক্সে এদের বড়োই অসন্তুষ্টি ও অনীহা। কাকে, কিভাবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হয় সেটুকু জ্ঞান পর্যন্ত এদের নেই। এরা বলে “দুনিয়ার মজদুর এক হও” কিন্তু নিজেরাই ৫৭টা দলে বিভক্ত- নিখাদ প্রতারক এক দল। নিজেদের প্রতিষ্ঠাতাকে দল থেকে বের করে দিতে এরা কুণ্ঠাবোধ করে না, এতটাই বিশ্বাসঘাতক। সমকামী- বিষমকামী- অতিকামী- না বিগতকামী; সে সম্পর্কে কনফিউজড । এরা প্রফুল্লচন্দ্রকে সভাপতির আসনে বসিয়ে ভারতীয় পুরাণকে লাথি মারে। সুভাষচন্দ্রের গলায় মালা দিয়ে তোজোর কুত্তা বলে গাল দেয়। দক্ষিণেশ্বরে বেড়াতে গিয়ে রামকৃষ্ণদেবকে মৃগী রোগী বলে। এরা জাতীয় যুব দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি সঙ্গীতে স্বামী বিবেকানন্দকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেয়। রবীন্দ্রসংগীত আওড়ে পথনাটিকা করে গুরুদেবকে ইংরেজদের দালাল বলে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করে। বীর সাভারকরকে এরা ইংরেজদের স্পাই বলে, আর নিজে দলের যে ১৭জন মুচলেকা দিয়েছিল সে কথা খেয়াল করতে না পেরে নিজেদের স্মৃতিশক্তিহীনতার পরিচয় দেয়। জন্মের প্রথম ছ’মাস মাতৃদুগ্ধের সাথে গরুর দুগ্ধপান করে বড় হয় কিন্তু এই নিরীহ প্রাণীটির প্রতি কোন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে আপন অকৃতজ্ঞতাকে ফলাও করে নিজেদের মর্দাঙ্গি দেখায় … ভাগ্যিস তখন “লেকটোজেন” আবিষ্কার হয়নি, নচেৎ এই মর্দাঙ্গিটাও দেখাতে পারত না স্ট্রীটে দাঁড়িয়ে গো-মাংস ভক্ষণ করে। স্বজাতির স্বার্থে আঘাত হানার জন্য এরা সদা তৎপর। বেলেল্লাপনায় এদের মত নির্লজ্জ- বেহায়া- অসভ্য-অভব্য দল আর কেউ নেই। ভারতীয় বামপন্থীদের মধ্যে কি রকম একটা মেয়েলিপনা আছে… তাদের কথাবার্তায় ,চাল- চলনে , হাব-ভাবে। তাই এদের মধ্যে নারী সাজার এত উদগ্র বাসনা।

নারীর ব্রা, প্যান্টি, ন্যাপকিন পরে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে সর্বসমক্ষে ভারতীয় সংস্কৃতিকে এরা দিনের পর দিন ধর্ষণ করে চলে। মধুসূদন যথার্থই বলেছেন, “হা আমার পোড়া কপাল ! মদ-মাস খ্যেয়ে ঢলাঢলি করলেই কি আর সভ্য হওয়া যায়?”
সুভাষচন্দ্র বলেছেন, “যে শিক্ষা আমাদের জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করতে পারে না সে শিক্ষার কোন মূল্য নেই।”

পরিকল্পিতভাবে মানুষ খুন করাতে এদের জোড়া পাওয়া ভার, ধানতলা থেকে বানতলা, কাশিপুর থেকে বরানগর, তিলজলা থেকে আমতা, বিজন সেতু থেকে সাঁইবাড়ি, ওমরাপোতা থেকে আন্দামান, মরিচঝাঁপি থেকে যাদবপুর সর্বত্রই তাদের লাল সেলাম।

বামপন্থীদের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো- জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাজনীতি, সমৃদ্ধির বিরোধিতা, দারিদ্র বন্দনা, বিশৃঙ্খলা, ফাঁকিবাজি, ধর্মঘট, সংগ্রামের নামে ধাপ্পা, পরশ্রীকাতরতা, হুজুগে মাতা, হইচই, শ্লোগান বাজি, মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের খেপিয়ে তোলা, মূল্যবোধহীনতা,ওয়ার্ক টু রুল, পেন ডাউন, টুল ডাউন, গাঁ-এ মানে না আপনি মোড়ল এক ধান্দাবাজের দল।
এদের মধ্যে অবশ্যই কিছু ব্যতিক্রম আছেন, কিন্তু তাদের কথায় দল চলে না, তারা কেবলই ব্যতিক্রমী।

“নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে ভেবেছিলাম গাইবো না গান /থাকতে নারি দেখে-শুনে সুন্দরের এই হীন অপমান।”

লেখক পরিচিতিঃ

  • শ্রী স্বরূপ কুমার ধবল
    সহ-শিক্ষক(বাংলা বিভাগ)
    পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Sorry! Content is protected !!