India

মধ্যপ্রদেশ: লাগাতার শারীরিক নির্যাতন ও গর্ভপাতের পর বিবিকে তিন তালাক

নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও দেশে থামছে না তিন তালাক(Triple Talaq)। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিম মহিলারা অভিযোগ করছেন যে তাদেরকে তিন তালাক দেওয়া হচ্ছে। এবারে এমনই একটি ঘটনা সামনে এলো মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে। জেবা খাতুন(২৪) নামে এক মুসলিম মহিলার অভিযোগ, পরিবার প্রয়োজন মতো টাকা দিতে না পারায় অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাকে। শেষমেষ তাকে তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, জেবা খাতুন জবলপুরের হনুমানতাল এলাকার বাসিন্দা। জেবা খাতুন জানিয়েছেন যে একই এলাকায় শোয়েব মন্সুরির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে একটি দরগায় বিয়ে করেন দুজনে। বিয়ের পরে সবই ঠিকঠাক চলছিল।

ওই মুসলিম তরুণীর অভিযোগ, দুই মাসের পর সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তখন শোয়েব তাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করায়। তারপর থেকে সাধারণ বিষয় নিয়ে তাকে মারধর করতে থাকে। কেনো মারধর করা হচ্ছে, জানতে চাইলে শোয়েব বলে যে বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে এলে আর এসব করবে না। শোয়েবের দাবি মত কয়েক লাখ টাকা ব্যাপার বাড়ি থেকে এনে দেয় সে, জানিয়েছেন জেবা। কিন্তু তারপরেও অত্যাচার থামেনি।

জেবার অভিযোগ, এর পরে শোয়েব দশ লাখ টাকা দাবি করে। বাপের বাড়ির লোকজন দিতে না পারায় শুরু হয় অত্যাচার। লাগাতার মারধর, খেতে না দেওয়া এসব চলতে থাকে। এরই মধ্যে এই বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে জেবাকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় শোয়েব।

তারপরই অঘরতাল থানায় শোয়েবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। গত ৮ই জুলাই পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মুসলিম তরুণী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়াঙ্কা শুক্লা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Sorry! Content is protected !!