Love Jihad

লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যা করলেন জাতীয় স্তরের বেসবল খেলোয়াড় সঞ্জনা, গ্রেপ্তার আবদুল মন্সুরী

গত ৫ই জুন, মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন জাতীয় স্তরের বেসবল খেলোয়াড় সঞ্জনা বারকাদে। পরে তাঁর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ রেওয়া থেকে আব্দুল মন্সুরী নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে, প্রায় বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সঞ্জনার সঙ্গে পরিচয় হয় আবদুলের। আবদুল নিজের মুসলিম নাম ও ধর্ম গোপন করে নিজেকে রঞ্জন নামে পরিচয় দেয়। পরে সঞ্জনা এবং আব্দুল ওরফে রঞ্জনের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু মাস খানেক আগে রঞ্জনের আসল পরিচয় সঞ্জনা জানতে পারে। তারপর প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল সে। সেই মত আবদুলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় সে।

অভিযোগ, তারপর থেকেই বাড়িতে ফোন করে হুমকি দিচ্ছিলো আবদুল। তাঁর মায়ের অভিযোগ, ‘কয়েকদিন আগে সঞ্জনার নম্বরে ফোন এসেছিল। আমি ফোন ধরতেই আমাকে বলা হয় যে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চায় সে। আমাকে বলে যে তোমার মেয়েকে বোঝাও। ও যেনো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং আমাকে বিয়ে করে। তা নাহলে তোমাদের সবাইকে মেরে ফেলবো।”

এই ঘটনার পর থেকে ভেঙে পড়েছিল সে। তার কয়েকদিন পরই ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সঞ্জনার।

এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া আবদুলকে জেরা করে অনেক তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। জেরায় আবদুল জানায় যে তাঁর সঙ্গে সঞ্জনার প্রেমের সম্পর্ক প্রায় এক বছরের। সে সঞ্জনার সঙ্গে দেখা তিনবার জব্বলপুরে এসেছিল। ইদানিং সঞ্জনা তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখছিল না। তাই সে সঞ্জনার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ধমকি দেয়। এমনকি তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার কথা বলেছিল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আবদুল মন্সুরী রেওয়া এলাকার বাসিন্দা। সে রেওয়া বাজারে একটি ঠেলাগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করে। ইনস্টাগ্রামে সে নিজেকে রঞ্জন খান নামে পরিচয় দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট বানায় এবং সঞ্জনাকে প্রেমের জালে ফাঁসায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Sorry! Content is protected !!