India

অনলাইন গেমে আসক্ত হিন্দু ও জৈন নাবালকদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১ মৌলবী

অনলাইন গেমে আসক্ত হিন্দু ও জৈন নাবালকদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। আর এমন অভিযোগের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে গাজিয়াবাদ পুলিশের। ইতিমধ্যেই গাজিয়াবাদ থেকে একজন মৌলবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করতে ইতিমধ্যেই মুম্বই রওয়ানা দিয়েছে গাজিয়াবাদ পুলিশের একটি দল।

খবর অনুযায়ী, গত ৩০শে মে কবীনগর থানায় এক জৈন ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে ওই ব্যক্তি লেখেন যে তাঁর নাবালক পুত্র অনলাইন ধর্মান্তরকরণ চক্রের ফাঁদে পড়ে নামাজ পড়া শুরু করেছে। জিমে যাওয়ার নাম করে দিনে পাঁচবার স্থানীয় একটি মসজিদে যায় এবং নামাজ পড়ে। ওই ব্যক্তি তাঁর পুত্রের ব্যবহার করা ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন পুলিশের হতে তুলে দেন।

তারপরই তদন্তে নেমে পুলিশ একটি অনলাইন গেমের সন্ধান পায়। ‘Fortnite’ নামে গেমের মাধ্যমে ওই জৈন ছেলেটিকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে আরও দুই হিন্দু ছেলের খোঁজ পায় পুলিশ, যারা ওই চক্রের খপ্পরে পড়েছিল। পরে পুলিশের তরফে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়।

ইতিমধ্যে পুলিশ এই চক্রের মাথা শাহনওয়াজ মকসুদ খানকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। শাহনওয়াজ মহারাষ্ট্রের থানের বাসিন্দা। তাকে গ্রেপ্তার করতে মহারাষ্ট্রে গিয়েছে গাজিয়াবাদ পুলিশের একটি দল।

কিভাবে ওই হিন্দু ছেলেদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ফাঁদ পাতা হতো?

প্রথমে হিন্দু নাম নিয়ে গেমিং প্ল্যাটফর্মে আইডি খোলা হতো। তারপর অনলাইনে অচেনা ছেলেদের সঙ্গে খেলা চলত। যদি অচেনা ছেলেটি হিন্দু কিংবা জৈন হয়, তবে তাকে হারিয়ে দেওয়া হতো। তারপর চ্যাট চলাকালীন বলা হতো যে কিছু ইসলামিক দোয়া পাঠ করলে সে গেমে জিততে পারবে। তারপর বিশ্বাস অর্জনের জন্য গেমে পরাজিত হতো ইচ্ছে করে। এভাবেই হিন্দু ছেলেদের বিশ্বাস অর্জন করা হতো।

দ্বিতীয় ধাপে, তাদেরকে ইসলামিক নিয়ম মানার জন্য মগজধোলাই করা হতো। নামাজ পড়া, গোঁফ কাটা এবং দাঁড়ি রাখা ইত্যাদি বিষয় বলা হতো। তাদেরকে বলা হতো যে এসব নিয়ম পালন করলে তাঁরা গেমে জিততে পারবে। আর এসব কথা মেনে চলতে শুরু করেছিল হিন্দু ও জৈন ছেলেরা।

তৃতীয় ধাপে, ওই ছেলেদের ফোনে জাকির নায়েক এবং অন্যান্য ইসলামিক বক্তার ভিডিও পাঠানো হতো। এভাবে তাদেরকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে যে গ্রেপ্তার হওয়া মৌলবির নাম আব্দুল রেহমান। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল এক জৈন ছেলের। সে ইসলামের প্রতি দূর্বল দেখে তাকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। আপাতত ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Sorry! Content is protected !!