India

ছত্তিশগড়: বস্তারে খ্রিস্টান মহিলার মৃতদেহের সমাধি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ জনজাতি সমাজের

এক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান মহিলার সমাধি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বস্তার জেলার ভেজরিপাদার গ্রাম। গ্রামের জনজাতি সমাজের মানুষদের দাবি, ওই মহিলার দেহ সমাধি দেওয়ার বদলে সৎকার করতে হবে। আর মহিলার পরিবার রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ জনজাতি সমাজের লোকজন ব্যাপক পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন। আর তা ঘিরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এলাকায়।

জানা গিয়েছে, গত ১৯শে মার্চ গ্রামের বাসিন্দা মাতে বেক্ক-র মৃত্যু হয়। তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেহ খ্রিস্টান রীতি মেনে সমাধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন গ্রামের জনজাতি সমাজের লোকজন। তাদের দাবি, ওই মহিলার দেহ সনাতনী রীতি মেনে সৎকার করা হোক।

অভিযোগ, ঘটনার দিন যখন ওই মহিলার মৃতদেহ সমাধির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে দেহ আটকে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জনজাতি সমাজের লোকজন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথর ছোঁড়ে জনজাতি সমাজের লোকজন। পাথরের আঘাতে কফিনবন্দি দেহ ফেলে পালিয়ে যান পরিবারের লোকজন। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

জনজাতি সমাজের লোকজনের অভিযোগ, ওই মহিলা ও তাঁর পুরো পরিবার বেশ কয়েকমাস আগে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। গ্রামে আর কোনও খ্রিস্টান পরিবার নেই। তাই ওই পরিবারের দেখাদেখি আর কোনও পরিবার যাতে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত না হয়, সেজন্য তাঁরা ওই মহিলার দেহ সৎকার করতে চেয়েছিলেন।

পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই মহিলার দেহ খ্রিস্টান রীতি মেনে তাদের পারিবারিক জমিতে সামধি করা হয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জনজাতি সমাজের মানুষদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করে মিশনারিরা, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আর তার কারণে জনজাতি সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। এমনকি অতীতে চার্চে হামলার মত ঘটনাও ঘটেছে। আর এই কারণেই কোনরকম ঝুঁকি না নিয়েই এলাকায় কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেছে পুলিশ।

error: Sorry! Content is protected !!