স্থানীয় হিন্দুরা সজাগ থাকার কারণে মৌলবাদীদের চক্রান্ত ব্যর্থ হলো। সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন থেকে রক্ষা পেলেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
গতকাল বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার চৌধুরী বাজারের এক মন্দিরে কোরআন রাখতে এসে ধরা পড়লেন এক মুসলিম যুবক। স্থানীয় হিন্দুরা ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গতকাল ১৯শে নভেম্বর, শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, হবিগঞ্জের চৌধুরী বাজার একটি ব্যস্ততম এলাকা। ওই বাজারের প্রায় ৭০% ব্যবসায়ী হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ওই বাজারেই রয়েছে সর্বজনীন পূজা কমিটির মন্দির। প্রতি বছরই ওই মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় হিন্দুরা জানিয়েছেন যে গতকাল দুপুরে এক যুবক মন্দিরের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাঁর ওপর সন্দেহ হওয়ায় নজর রাখছিলেন কেউ কেউ। সেই সময় ওই যুবক মন্দিরের সিঁড়িতে উঠে বসে। তারপর ব্যাগ থেকে প্যাকেট বের করে। স্থানীয় কয়েকজন ছুটে এসে তাকে ধরে ফেলে। তৎক্ষণাৎ বাজারের হিন্দু ব্যবসায়ীরাও ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় চৌধুরী বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে।
পুলিশের উপস্থিতিতে প্যাকেট খুলতে বলা হয় ওই যুবককে। প্যাকেট খুলতেই বেরিয়ে আসে কোরআন শরীফ। সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানায় যে সে নোয়াখালীর বাসিন্দা। পরে তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভয়ে আতঁকে উঠেছেন জেলার সংখ্যালঘু হিন্দুরা। মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তাঁরা খুশি। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত, তার তদন্ত করে তাদের গ্রেপ্তার ও কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।