ত্রিপুরায় মঙ্গলবার, ২৬শে অক্টোবর তারিখে তথাকথিত হিংসার ঘটনা ঘিরে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে। বেশ কয়েকটি ভিডিও ও ছবিতে এমন দাবি করা হচ্ছিল যে একটি মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই ঘটনায় ত্রিপুরা পুলিশের তরফে জানালো হলো যে মসজিদে আগুন দেওয়া কিংবা ভাঙচুরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব ভিডিও ও ছবি ছড়ানো হচ্ছে, তা ফেক। আর যারা এমন কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের তরফে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দুর্গা পূজার দিনগুলি এবং তার পরে যেভাবে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থানে এবং ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল, তার প্রতিবাদ জানিয়ে ২৬শে অক্টোবর বেশ কয়েকটি স্থানে হিন্দুরা মিছিল বের করে। মূলত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সেই মিছিল বের করা হয়েছিল। তারপরেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় যে বেশ কিছু স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার, ২৭শে অক্টোবর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত গতিতে ভাইরাল হচ্ছিল। সেই ভাইরাল ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছিল যে ত্রিপুরার একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই ভিডিও নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানালো ত্রিপুরা পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ত্রিপুরা পুলিশ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে মসজিদে আগুন দেওয়ার ঘটনা যা প্রচার হচ্ছে, তা ফেক। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। পাশপাশি এও জানানো হয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক প্রোফাইলের মাধ্যমে সেই সব ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে।
এর পাশাপাশি ত্রিপুরা পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে রাজ্যের পরিস্থিতিসম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিছু এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বাড়তি পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরেও যারা ফেক ভিডিও ও ছবি পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
Image credits: DOpolitics