পাকিস্তানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপরে ইসলামিক মৌলবাদীদের হামলা অব্যাহত। এবার পাঞ্জাব প্রদেশের একটি হিন্দু মন্দিরকে টার্গেট করলো মৌলবাদীরা। মন্দিরের ভিতরে নির্বিচারে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলো। আবার সেই ঘটনা লাইভ করা হলো ফেসবুকেও।
জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান জেলার ভং শহরে রয়েছে ওই গণেশ মন্দিরটি। গতকাল একদল ধর্মান্ধ মৌলবাদী লাঠি, রড নিয়ে মন্দিরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা ‛আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিতে দিতে মন্দিরে ভাঙচুর চালায়। মন্দিরের ভিতরে থাকা গণেশের মূর্তি ভাঙচুর করে। পরে মন্দিরের ভিতরে আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁরা।
ঘটনা ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের এমপি ডঃ রমেশ কুমার ভ্যাংকওয়ানী টুইটারে মন্দির ভাঙার ঘটনার নিন্দা করে ভিডিও পোস্ট করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এদিকে ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সেখাওয়াত। তিনি ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশপাশি CAA আইনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বিরোধীদের নিশানা করে লিখেছেন যে পাকিস্তানের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের এই ঘটনা এই প্রমাণ করে যে নরেন্দ্র মোদি কেন CAA আইন পাস করিয়েছিলেন। এটা বিরোধীদের বোঝা উচিত।