সাচার কমিটির রিপোর্ট যেন লাগু না করা হয়। কেন্দ্র সরকার যেন এই রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করে, তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হোক। এই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হলো পিটিশন।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ(UPA) সরকার ২০০৫ সালে দিল্লী হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সাচারের সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি দেশের মুসলিমদের আর্থিক, সামাজিক ও শিক্ষার হাল খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেয়। তাঁর ভিত্তিতে মুসলিমদের জন্য একাধিক সুপারিশও করে এই কমিটি।
এবার সেই সাচার কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হলো পিটিশন। এই পিটিশনটি দায়ের করেছেন উত্তর প্রদেশের ৫ ব্যক্তি। তাদের কথায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার অনুমোদন ছাড়াই ‛সাচার কমিটি’-কে কাজে নামানো হয়েছিল। এমনকি এই কমিটির গঠন নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি প্রধানমন্ত্রীর অফিস(PMO)।
সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন-এর মাধ্যমে দায়ের হওয়া পিটিশনে বলা হয়েছে যে, ‛এ থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থিক, সামাজিক ও শিক্ষার পরিস্থিতি জানার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু সংবিধানের ১৪ এবং ১৫ নং অনুচ্ছেদে এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে যে কোনও বিশেষ একটি ধর্মের জন্য আলাদা কোনও কিছু করা যায় না।’ পিটিশনে এও বলা হয়েছে যে সংবিধানের ৩৪০ ধারা অনুযায়ী এমন বিশেষ কমিটি গঠনের অধিকার একমাত্র রাষ্ট্রপতির হাতে রয়েছে।
পিটিশনে বলা হয়েছে যে শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই বিশেষ কমিটির গঠন সংবিধানের ৭৭ ধারা উল্লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। তাই এই কমিটির গঠনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হোক। তাই সাচার কমিটির সুপারিশ মেনে কেন্দ্র সরকার যাতে কোনও প্রকল্প শুরু না করে, তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হোক; এমন আবেদন জানানো হয়েছে পিটিশনে।