পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এনকাউন্টারে মৃত্যু হলো এক সুপারি কিলারের। আব্দুল খালেক নামে ওই কুখ্যাত অপরাধীর বিরুদ্ধে গরু চুরি, পুলিশকর্মীকে খুন করার মত গুরুতর অভিযোগ ছিল।
জানা গিয়েছে, গত ৬ই জুলাই, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আব্দুল খালেককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে বিজনী থানার পুলিশ। তাকে ওই থানার হোমগার্ড বাজিদ আলীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে ওই হোমগার্ডকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে গিয়েছিল আব্দুল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে থানায় জেরা করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই সময় আব্দুল এক অফিসারের পিস্তল ছিনিয়ে নেয় এবং এক পুলিসকর্মীর মাথায় পিস্তল ধরে থানার কাছের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল আব্দুলের পিছু ধাওয়া করে। কিছুদূর যাওয়ার পর দু পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। পরে আব্দুলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে ভিটাগাঁও হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পরে সাংবাদিক সম্মলনে কিভাবে ওই অপরাধীর এনকাউন্টার হয়েছে, তা বর্ণনা করেন পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, হিমন্ত বিশ্বশর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া মনোভাব নিয়ে চলেছেন। তিন পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন যে মহিলাদের ওপর করা অপরাধ, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো ঘটনায় দ্রুত বিচার করা হোক। এমনকি কোনো অপরাধী যদি পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, তবে তাকে এনকাউন্টার করা সঠিক বলেই মন্তব্য করেছিলেন হিমন্ত।