জন সংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত আসাম সরকার। আর তা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই সরকারি সুযোগ সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতি ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতে যে সংখ্যালঘু মানুষজন খুব একটা প্রভাবিত হবেন না, তা আগেই স্পষ্ট হয়েছিল একাধিক সংখ্যালঘু নেতাদের মন্তব্যে। এবার তাই অন্য পথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ব্যাপক জন বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর এই জন বিস্ফোরণের ফলে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। তাই এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা, প্রতিষ্ঠিত লোকজন, চিকিৎসিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, লেখক, অধ্যাপকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
গতকাল গুয়াহাটিতে এই বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শিরোনাম ছিল: Alaap Alochana: Empowering the Religious Minorities’। এই বৈঠকে সংখ্যালঘুদের সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্যার কারণ খুঁজতে চেষ্টা করা হয়। কিভাবে অত্যধিক সন্তান নেওয়ার ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছেন মুসলমানরা, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খিলনজিয়া মুসলিমদের নেতারাও।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন যে জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সঙ্গে একমত পোষন করেছেন সংখ্যালঘু নেতারা। যদি আসামকে উন্নত রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, তবে জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এর পাশাপাশি জন বিস্ফোরণের কারণে কিভাবে পিছিয়ে পড়ছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা, তা খতিয়ে দেখতে দেখতে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হিমন্ত। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।