রাজ্যের সরকারি চাকরিতে সন্তান নীতি কার্যকর হয়েছে আগেই। এবার সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সেই নীতি কার্যকর করার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সাফ জানিয়ে দিলেন, সরকারি প্রকল্পের সুযোগ দেওয়ার আগে দেখা হবে সন্তান সংখ্যা।
আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই আশঙ্কার প্রহর গুনছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাদের মতে, এই নীতি কার্যকর হলে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন তাঁরা।
গতকাল ঋণ মুকুব সংক্রান্ত ঘোষণার সময় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, অরুনোদয়, মুখ্যমন্ত্রী আবাস প্রকল্প ইত্যাদি সরকারি প্রকল্পের সুযোগ দেওয়ার আগেই সন্তান সংখ্যা দেখা হবে। তিনি আরও বলেন, “ ভবিষ্যতে জন সংখ্যার নীতি মেনে চলা হবে সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে। সরকারের কাছ থেকে কোনও সুবিধা পেতে হলেও জনসংখ্যা নীতি কার্যকর হবে। ক্ষুদ্র ঋণ মুকুবের ক্ষেত্রেও এই নীতি কার্যকর হবে”।
বেশ কিছুদিন আগেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার বার্তা দিয়েছিলেন হিমন্ত। তার আগেই দুই সন্তানের বেশি থাকলে সরকারি চাকরি পাবেন না, এমন নীতি চালু করেছিলেন তিনি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তাঁর সরকার যে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে, তা তিনি স্পষ্ট করেছিলেন সে সময়। তাই সরকারি সুযোগ পেতে হলেও এবার থেকে দেখা হবে সন্তান সংখ্যা। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে রাজ্যে ধীরে ধীরে এই নীতি কার্যকর করা হবে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এও স্পষ্ট করেছেন যে, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে সন্তান নীতি কার্যকর হবে না। তাঁরা দুই-এর বেশি সন্তান থাকলেও সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাবেন।