শ্মশান দখল করে মসজিদের নির্মাণ
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের কাঁকশিয়ালী নদীর তীরে মলম বরেয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ১২০ বছরের পুরাতন শ্মশানের জায়গা দখল করে মসজিদ বানানো হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনায় জড়িত ইসলামিক মৌলবাদীরা
মলম বরেয়া শ্মশান পরিচালন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল জানান, তেঁতুলিয়া ও মলম বরেয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন দীর্ঘ ১২০ বছর ধরে এই শ্মশানে মৃৃৃতদেহ সৎকার করে আসছে। অপরদিকে গোবিন্দকাটি খেয়াঘাট থেকে চেটা পুকুর পর্যন্ত কাঁকশিয়ালী নদীর তারালী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ১০০ একর জমির মধ্যে শ্মশান ও শ্মশানের প্রয়োজনে নির্মিত পুকুরসহ এক বিঘা জমি ব্যতীত প্রায় ৯৯ বিঘা জমিই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে ডিসিআর না নিয়েই তেঁতুলিয়া গ্রামের বহুল আলোচিত প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক সানার ছেলে সন্ত্রাসী ভুমিগ্রাসী বাদশা সানার নেতৃত্বে মঞ্জু মোড়ল , জমাত আলী, সাহেব আলী, মোহাম্মদ আলী, হাফিজ, আসমতসহ বেশ কয়েকজন অবৈধভাবে ঘরবাড়ী তৈরী করে বসবাস ও মাছের ঘের করে দখল করে রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করেন গত ৭ এপ্রিল সকালে নদীর চর দখলকরে বসবাসকারি ও মাছ চাষকারি মঞ্জু মোড়ল , জমাত আলী, সাহেব আলী, মোহাম্মদ আলী, হাফিজ, আসমতসহ কয়েকজন বাদশা সানার নির্দেশনা অনুযায়ি তাদের ব্যবহৃত শ্মশানের ৩০ হাত সামনে শবদেহ আনা নেওয়া ও রাখার রাস্তাটি সহ শশ্মানের বিশাল একটি অংশ দখল করে মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্যে মাটির ভিত তৈরি শুরু করে। আপত্তি করায় শ্মশান অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বলে তারা।
পুলিশে অভিযোগ দায়ের
এক পর্য়ায়ে গত ১১ এপ্রিল শ্মশান কমিটির সভাপতি নিমাই মণ্ডল বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেন। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শ্মশানের সামনে নির্মাণাধীন মসজিদ তৈরি না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর অমান্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।